ফের শিল্পাঞ্চলে ঢুকে পড়ল হাতি। মঙ্গলবার বাঁকুড়া থেকে দামোদর পেরিয়ে অন্ডালে চলে আসে এক দাঁতাল। বক্তারনগরের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে সেটি। বন দফতর জানায়, হাতিটিকে ফের বাঁকুড়ায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি বীরভূমের দিক থেকে অজয় পেরিয়ে ঢুকে পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুরে তাণ্ডব চালিয়ে যায় তিনটি হাতি। মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত হন বেশ কয়েক জন। হাতিগুলি আলাদা হয়ে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। একটি দু’দিন পরে দুর্গাপুর থেকে দামোদর পেরিয়ে বাঁকুড়ায় চলে যায়। একটি দিন পাঁচেক দুর্গাপুর শহরে ঢুকে বসে ছিল। তাকে তাড়াতে ‘ঐরাবত গাড়ি’, কুনকি হাতি আনতে হয় বন দফতরকে। ঘুমপাড়ানি গুলিও ছোড়া হয়। শেষমেশ সেটিও সোনামুখী চলে যায়। আর একটি অবশ্য কাঁকসা, গুসকরা হয়ে আউশগ্রামে দাপিয়ে বেড়ায়। সোমবারও সেটিকে আউশগ্রামের ভালকিতে দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে ফের একটি দাঁতাল অন্ডালে এসে হাজির হয় মঙ্গলবার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ তাঁরা দেখেন হাতিটি জেকে রোপওয়েজের ১/১ ইউনিটের দিক থেকে দক্ষিণবাজারের রাস্তায় যাচ্ছে। সেখান থেকে সেটি বাসকা পৌঁছয়। পরে পুবরা, মদনপুর হয়ে বক্তারনগরের একটি জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয় দাঁতাল। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় বনকর্মীরা ও হুলা পার্টি হাতিটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করেছে।
বারবার শিল্পাঞ্চলে হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনায় আতঙ্কে শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা। উদ্বিগ্ন বনকর্তারাও। তাঁদের মতে, হাতিরা সব সময় এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। তারই অঙ্গ হিসেবে এখন বাঁকুড়া থেকে বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে তারা। এই সব হাতিদের অনেকে দলছুট হয়েও এই এলাকায় চলে আসছে বলে আধিকারিকেরা জানান। দুর্গাপুরের বন আধিকারিক মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “বাঁকুড়ার মেজিয়ার জঙ্গল থেকে হাতিটি দামোদর পেরিয়ে ঢুকেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সেটিকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy