Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নতুন নির্দেশে হাসি ফুটল মাহুতের মুখে

‘বিচ্ছেদ’ হচ্ছে জেনে মুষড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই দুর্গাপুরের বনাধিকারিকের আর্জিতে দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে সার্কাসের মাহুত শেখ কেয়ামুদ্দিনের। সেন্ট্রাল জু অথারিটির (সিজেডএ) নির্দেশ, সাবিত্রী আর তার তিন সঙ্গী হাতির সঙ্গে জলদাপাড়ায় পাঠানো হবে কেয়ামুদ্দিনকেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
অন্ডাল শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩১
Share: Save:

‘বিচ্ছেদ’ হচ্ছে জেনে মুষড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই দুর্গাপুরের বনাধিকারিকের আর্জিতে দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে সার্কাসের মাহুত শেখ কেয়ামুদ্দিনের। সেন্ট্রাল জু অথারিটির (সিজেডএ) নির্দেশ, সাবিত্রী আর তার তিন সঙ্গী হাতির সঙ্গে জলদাপাড়ায় পাঠানো হবে কেয়ামুদ্দিনকেও।

সম্প্রতি সিজেডএ বন দফতরকে জানায়, সাবিত্রী-সহ চার হাতিরই রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। তাদের জলদাপাড়া পিলখানায় পাঠাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ‘চিফ ওয়াইল্ড লাইফ’ ওয়ার্ডেনের তত্ত্বাবধানে রবিবার রাতে চারটি হাতিকেই নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। শনিবার দুর্গাপুরের বন দফতর কেয়ামুদ্দিনের কাছে জানতে চায়, তিনিও সাবিত্রীদের দেখভালের জন্য জলদাপাড়ায় যেতে চান কি না। কেয়ামুদ্দিন এক কথায় রাজি হয়ে যান। তিনি জানান, ১৯৬৭ সালে শোনপুরের মেলা থেকে চারটি হাতি কেনেন সার্কাসের মালিক। তখন থেকেই তিনি তাদের দেখভালের দায়িত্বে। হাতি চলে যাবে শুনে কেয়ামুদ্দিন বলেছিলেন, ‘‘ওদের তো জঙ্গলে খাবার সংগ্রহের অভ্যাস নেই। আর হাতি না থাকলে আমি কী করব!’’ বিষয়টি জানার পরেই বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল সিজেডএ-র কাছে কেয়ামুদ্দিনকেও জলদাপাড়ায় পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সম্মতিও মেলে। কেয়ামুদ্দিনের বয়স এখন ৭০ বছর। মিলনবাবু জানান, বয়স যাতে নিয়োগে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সে জন্য তাঁকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।

সব জেনে কেয়ামুদ্দিন বলেন, ‘‘আর চিন্তা নেই।’’ তবে হাতি ছাড়া সার্কাসের আকর্ষণ কতখানি ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সার্কাস কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Elephant keeper Elephant Jaldapara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE