পাঁচ মাস আগে যে পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তার এখনও ফল বেরোয়নি।
চার মাস আগে যে পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তার খাতা এখনও পৌঁছয়নি পরীক্ষকের কাছে।
অন্য নানা বছরের মতো এ বারও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ হবে না, মনে করছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের অবশ্য দাবি, খাতা দেখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। আবার খাতা নিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যানসার পেপার’ (এপি) বিভাগে দিতে গড়িমসি করছেন। সে কারণে স্নাতকস্তরে পরীক্ষার ফল বার করতে গিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কর্মসমিতি (ইসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও শিক্ষক খাতা দেখতে অস্বীকার করলে বা খাতা নিতে এপি বিভাগে না এলে সেই শিক্ষকের কলেজকে চিঠি দেওয়া হবে। তার পরে অধ্যক্ষের কাছে খাতা পৌঁছে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের পরেই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে স্নাতক স্তরের পার্ট ২ (পুরনো পদ্ধতি) পরীক্ষার খাতা গাড়িতে করে কলেজে-কলেজে পৌঁছে দিচ্ছে পরীক্ষা নিয়ামক দফতর। ওই পরীক্ষা হয়েছিল গত অগস্টে। এপি বিভাগে প্রায় ৬৮ হাজার পরীক্ষার্থীর খাতা সেপ্টেম্বর থেকে মজুত হয়ে পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৪টি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে পাঠ্যক্রমের বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে জনা কয়েক অধ্যক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে ফল বার করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হচ্ছেন কেন, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে সময়ে ফল না বেরনো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কখনও ‘আউটসোর্সিং’, কখনও শিক্ষকদের খাতা না দেখার সমস্যার কথা শোনা যায়। আদতে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
গত বছর থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে সিবিসিএস পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম শুরু হয়। ৪৫ দিনের বদলে প্রথম সেমেস্টারের ফল বেরিয়েছিল ন’মাসের মাথায়। তার আগে জুলাইয়ে দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা দেন প্রায় এক লক্ষ ৫২ হাজার পড়ুয়া। সেই পরীক্ষার ফল এখনও বেরোয়নি। তৃতীয় সেমেস্টার ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ফলপ্রকাশের আর্জি জানান। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও কি দ্বিতীয় সেমেস্টারের ফল না জেনেই পরীক্ষায় বসবেন পড়ুয়ারা? পরীক্ষা নিয়ামক আনন্দজ্যোতি পাল বলেন, ‘‘দ্বিতীয় সেমেস্টারের ফল শীঘ্রই বেরোবে। বাকি পরীক্ষার ফলপ্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy