সৌদি আরবে আটকে থাকা কুলটির সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। তবে তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস মেলেনি, দাবি সঞ্জয়বাবুর। তবে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা প্রসাসনের আধিকারিকেরা। সরকারের কাছে তাঁকে দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
২০০৯ সালের ৩১ মে এক সংস্থায় গাড়ি চালকের চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে যান কুলটির ডিসেরগড়ের বাসিন্দা সঞ্জয়বাবু। প্রায় দেড় বছর আগে তাঁর সংস্থার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে দালাল মারফত সে দেশে গিয়েছেন তার কাছেই সঞ্জয়বাবুর পাসপোর্ট জমা রয়েছে। টাকা না দিলে পাসপোর্ট মিলবে না, দাবি করেছে ওই দালাল। ফলে, বিপাকে পড়েছেন সঞ্জয়বাবু। তিনি জানান, কার্যত ভিক্ষা করে দিন কাটছে তাঁর।
এই খবর জানার পরেই প্রশাসনিক স্তরে নড়াচড়া শুরু হয়। সোমবার সৌদির রিয়াধ থেকে ফোনে সঞ্জয়বাবু জানান, ভারতীয় দূতাবাসের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিনিধিরা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি সেখানে যে গাড়িটি চালাতেন সেটি তাঁর নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ভাড়া বাবদ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পাওনা হয়েছে। সেই টাকা চেয়ে গাড়ির মালিক সঞ্জয়বাবুর নামে আদালতে মামলা করেছেন। ওই টাকা সঞ্জয়বাবুকেই মেটাতে হবে। তার আগে দেশে ফেরা মুশকিল।
সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি যে সংস্থায় কাজ করতাম তারা জালিয়াতি করে আমার নামে গাড়ি ভাড়া করেছিল। তারাই ভাড়া মেটায়নি। আমি কপর্দকশূন্য। খুব মুশকিলে পড়েছি।’’
সঞ্জয়বাবুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী জানান, এক জন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘সরকারের কাছে সৌদিতে আটকে থাকা ওই বাসিন্দাকে দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy