জীবনাবসান: নিত্যানন্দ ঠাকুর।
রাজনীতি, সমাজসেবার নানা কাজ, ধর্মচর্চা, পত্রিকা সম্পাদনা, এমনই নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছিলেন মানুষটি। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেই বহুবর্ণ মানুষটি, কাটোয়ার কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক নিত্যানন্দ ঠাকুরের বার্ধক্যজনিত কারণে জীবনাবসান হয়েছে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সচিত্র পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ১৯১৩-র ১৩ ফেব্রুয়ারি শ্রীখণ্ডে জন্ম হয় নিত্যানন্দবাবুর। কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়ে সুভাষচন্দ্র বসুর হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে বিধায়ক হন। পরে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন জনতা দলে। ১৯৮০-তে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে ‘সর্বোদয়’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন। সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি, রবীন্দ্র ভবন এবং শিল্প সমবায়ের নানা কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
দাঁড়ি পড়েনি প্রতি দিনের নানা কাজেও। কী রকম ছিল নিত্যানন্দবাবুর প্রতিদিনের রুটিন? পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে ধর্মগ্রন্থপাঠ শুনতেন তিনি। তাঁর ছেলে অসীমানন্দ ঠাকুরের বক্তব্য, ‘‘আমার কাজ ছিল, প্রতি দিন বাবাকে সংবাদপত্র পড়ে শোনানো।’’
সারা জীবন নিরামিষ আহার করতেন বলে জানান পারিবারিক চিকিৎসক শীতল ভট্টাচার্য। তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ নানা জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy