E-Paper

মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে বিপাকে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ১২-১৩ জনের সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে কৃষিকাজ করতে তালিমনাড়ু গিয়েছিলেন সন্তোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মাস দুই আগে ভিন্‌ রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁতপুকুর আদিবাসী পাড়ার সন্তোষ হেমব্রমের (৩৪)। সে রাজ্যের পুলিশ তাঁর দেহ বাড়ি পৌঁছে দেয়। কিন্তু মৃত্যুর শংসাপত্র না পাওয়ায় সরকারি প্র্কল্পের সুযোগ-সুবিধা মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ১২-১৩ জনের সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে কৃষিকাজ করতে তালিমনাড়ু গিয়েছিলেন সন্তোষ। তাঁর স্ত্রী রানি হেমব্রম বলেন, “ধান রোয়ার কাজ সেরে বাসায় এসে রান্না করি। তার পরে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে যাই। ঘুমের মধ্যে কখন স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, বুঝতে পারিনি। পরে স্থানীয় পুলিশ দেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।” পুলিশের সহায়তায় সন্তোষের দেহ আউশগ্রামে এলে সৎকার করেন পরিবারের সদস্যারা।

দুই ছেলে এবং শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন রানি। তাঁর দাবি, “শুধুমাত্র পুলিশের দেওয়া একটি কাগজ আছে। মৃত্যু সংক্রান্ত আর কোনও নথি আমাদের দেওয়া হয়নি। ফলে পঞ্চায়েত থেকে সমব্যথী, জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্পের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিলছে না। মৃত্যুর শংসাপত্র না থাকলে বিধবা ভাতাও মিলবে না। একটু বাড়তি রোজগারের আশায় দু’জনে ওখানে গিয়েছিলাম। সরকারি সাহায্য না মেলায় আমার একার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”

মৃতের দাদা চাঁদ হেমব্রমের দাবি, “গত ২৬ অক্টোবর ভাই তামিলনাড়ুতে মারা যায়। মৃত্যুর শংসাপত্র এখনও হাতে পাইনি। সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত বলেছে, মৃত্যুর শংসাপত্র না পেলে কিছু করা যাবে না। সব কাজ আটকে রয়েছে। তামিলনাড়ু গিয়ে সেই শংসাপত্র আনার ক্ষমতা নেই আমাদের। ফোনে যোগাযোগ করলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ওদের কথাও বুঝতে পারি না।” বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কিশোর রায়চৌধুরী বলেন, “অন্য রাজ্যে মারা যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিডিও-কে জানানো হয়েছে।” বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও (আউশগ্রাম ১) শেখ কামরুল ইসলাম।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ausgram

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy