Advertisement
E-Paper

ময়দান থেকে কার্তুজ কাণ্ডে ধরা পড়া সাহিদুল্লার পরিবারের দাবি, ‘মিথ্যা মামলা’

পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাসে কেতুগ্রামের কুলুন গ্রামের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মাজিকে প্রায় একশো রাউন্ড কার্তুজ-সহ গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মঙ্গলকোটের সাহিদুল্লার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ০১:০৩
ধৃতের নাম সাহিদুল্লা মল্লিক।

ধৃতের নাম সাহিদুল্লা মল্লিক। —প্রতীকী চিত্র।

ময়দান এলাকা থেকে এসটিএফের হাতে ১০ রাউন্ড কার্তুজ-সহ ধরা পড়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সাহিদুল্লা মল্লিক। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতির মামলাও। তবে ধৃতের ভাইয়ের দাবি, পুলিশ তাঁর দাদাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাসে কেতুগ্রামের কুলুন গ্রামের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মাজিকে প্রায় একশো রাউন্ড কার্তুজ-সহ গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মঙ্গলকোটের সাহিদুল্লার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার কলকাতার ময়দান এলাকা থেকে সাহিদুল্লাকে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭.৫৬ এমএম পিস্তলের ১০টি কার্তুজ। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিহারের মুঙ্গের থেকেই আমদানি করা হয়েছিল সেগুলি। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে চালানো হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

দাদা যে আগ্নেয়াস্ত্র কারবারে জড়িত ছিলেন তা অস্বীকার না-করলেও সাহিদুল্লার ভাই সাইফুদ্দিনের দাবি, ‘‘দাদা ওই সব কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। রোজকারের জন্য বাইরে যাচ্ছিল। এ বারে পুলিশ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে।’’ জামাই বাপন শেখের দাবি, ‘‘আমার শ্বশুর নির্দোষ। পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। একটা মানুষকে প্রমাণ ছাড়াই বারবার ধরা হচ্ছে।’’

ধৃতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মাধপুর এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সাহিদুল্লা থাকত। নিজেদের বেশ কিছু জমিও আছে। ছেলের সঙ্গেই চাষবাস দেখাশোনা করত সাহিদুল্লা। একই গ্রামে বিয়ে হয়েছে তার মেয়ের। ছয় ভাই হলেও সকলেরই আলাদা বাড়ি আছে। আরও জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিল সে । বছর খানেক আগে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে আসে। তারপর থেকে আর বাইরে যায়নি। বাড়িতেই ছিল।

পুলিশ জানাচ্ছে, এটাই নতুন নয়। এর আগেও সাহিদুল্লার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ২০২১ ও ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগের দুটি মামলা আছে। ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পরে ২০২৩ সালে ডাকাতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ডাকাতির মামলায় জামিন পেয়েই সাহিদুল্লা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল। ফিরে আসার বছর খানেকের মধ্যেই ফের এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে। কার্তুজগুলি কাকে সরবরাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, সাহিদুল্লার গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়েই কলকাতা এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে।

Fire Arms STF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy