E-Paper

আলু চাষের শুরুতেই বৃষ্টির ভ্রুকুটি

ফের জমি তৈরি করে আলুচাষ করতে দেরি হয়ে যায়। চাষের খরচও বাড়ে। চাষিরা জানান, দেরিতে চাষ হলে আলু গাছ পর্যাপ্ত শীত পায় না। যার প্রভাব পরে ফলনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩১
মেঘলা আকাশ, মাঝেমধ্যে বৃষ্টির ফাঁকেই জমিতে চাষের কাজ। কালনার রাহাতপুরে সোমবার।

মেঘলা আকাশ, মাঝেমধ্যে বৃষ্টির ফাঁকেই জমিতে চাষের কাজ। কালনার রাহাতপুরে সোমবার। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।

কোথাও আলু বীজ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে, কোথাও চলছে জমি তৈরির কাজ। কোথাও আবার মাঠে পড়ে রয়েছে পাকা ধান। চাষের ভরা মরসুমে হঠাৎ খারাপ আবহাওয়ায় চিন্তার
মেঘ ঘনিয়েছে চাষিদের মহল্লায়। সোমবার জেলার অনেক জায়গায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। সারাদিন আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। চাষিদের আশঙ্কা, এই অবস্থায় ভারী বৃষ্টি হলে এক দিকে যেমন আলু চাষ পিছিয়ে যাবে, তেমনই অন্য দিকে মাঠে পড়ে থাকা ধানেরও ক্ষতি হবে।

এ বার জেলায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কালনা ১, কালনা ২, মেমারি ২-এর মতো বেশ কয়েকটি ব্লকে আলুর বীজ জমিতে বসানোর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টির জেরে এ বছর আলুচাষ পিছিয়ে যায় প্রায় সপ্তাহ দুয়েক। এ দিন সকালে কিছুটা কুয়াশা থাকলেও পরে রোদ ওঠে। তবে সকাল ৮টার পরেই মেঘ ঘনিয়ে আসে। বেলা ১টার পরে ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়। চিন্তা বাড়ে চাষিদের। ২০২১ এবং ২০২৩-র ডিসেম্বরে বৃষ্টিতে জেলায় ভাল ক্ষতি হয় আলুচাষে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১-র ৭ এবং ৮ ডিসেম্বর বৃষ্টি হয় ১২৫ মিলিমিটার। ২০২৩-র ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দু’দিনে বৃষ্টি হয়েছিল ১৩০ মিলিমিটার। এর ফলে ওই দু’বছর আলুচাষের শুরুতেই বহু জমিতে জল জমে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আলুর বীজ। ফের জমি তৈরি করে আলুচাষ করতে দেরি হয়ে যায়। চাষের খরচও বাড়ে। চাষিরা জানান, দেরিতে চাষ হলে আলু গাছ পর্যাপ্ত শীত পায় না। যার প্রভাব পরে ফলনে।

কালনা ১ ব্লকের আলুচাষি নবীন প্রামাণিক বলেন, ‘‘চার বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছি। এ বার চড়া দামে আলুর বীজ কিনতে হয়েছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কিছুটা মাটি ভিজেছে।
আকাশে মেঘ কাটেনি। ভারী বৃষ্টি হলে জমিতে জল জমে আলুবীজ পচে যাবে।’’ আর এক আলুচাষি ফিরোজ শেখের কথায়, ‘‘জমি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বীজ, সারও চলে এসেছে। দিন তিনেকের মধ্যে আলুবীজ জমিতে বসানোর কথা। বেশি বৃষ্টি হলে তৈরি জমিতে কাদা জমবে। সেখানে আলু বীজ বসানো সম্ভব হবে না। ফের জমি তৈরি করতে গেলে আরও দেরি হবে চাষ শুরু করতে। ফলে চিন্তা কাটছে না।’’

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮১ শতাংশ জমি থেকে আমন ধান তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এখনও যে সমস্ত ধান মাঠে রয়েছে, বৃষ্টি হলে তার ক্ষতি হতে পারে। জেলার এক সহ-কৃষি অধিকর্তা ভাস্কর দত্ত জানিয়েছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা হতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna Potato Farming

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy