নেশার ঘোরে আড়াই বছরের মেয়েকে ‘বলি’ দিতে গিয়েছিলেন বাবা। পড়শিদের সাহায্য নিয়ে তাকে বাঁচালেন মা।
সোমবার ভাতারের ওরগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরে মাঠপাড়ার বাসিন্দা সেলিমা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী ইব্রাহিম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও আদালতে তোলার পথে ইব্রাহিম দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ইব্রাহিম। নোট বাতিলের পরে কাজ চলে যায়। তারপর কলকাতায় একটি সংস্থায় কাজে যোগ দেন তিনি। শনিবার সেখান থেকেই বাড়ি ফিরেছিলেন। সেলিমা বিবির দাবি, বাড়ি ফেরার পর থেকেই নেশার ঘোরে ছিলেন স্বামী। পারিবারিক নানা কারণে অশান্তিও চলছিল। তার মধ্যেই বড় মেয়েকে হাঁসুয়া দিয়ে খুন করতে উদ্যত হন ইব্রাহিম। সেলিমাদেবীর অভিযোগ, “সকাল থেকে আমাকে ও আমার বড় মেয়েকে মারধর করতে শুরু করে ও। হঠাৎ করে বলতে থাকে বড় মেয়েকে বলি দেবে। তারপরই হাঁসুয়া নিয়ে মেয়ের দিকে তেড়ে যায়। তখন আমি চিৎকার শুরু করি। পাড়ার লোকেরা এসে আমার স্বামীকে আটকায়।” তাঁর আরও অভিযোগ, ইব্রাহিম তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ছ’বছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান। ছেলের বয়স পাঁচ বছর। আড়াই বছরের মেয়ে ছাড়াও ১০ মাসের আর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। এ দিন বর্ধমান আদালতে তোলা হলে সাত দিনের জেল হেফাজত হয় ইব্রাহিমের। তবে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার সময় তিনি দাবি করেন, “বলি দিতে যাব কেন? আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy