গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল কালনা মুন্সেফ আদালতের কর্মী তুলি আচার্যের। মেয়ের মৃত্যু রহস্যের কিনারার জন্য কালনা আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের সাহায্য চাইলেন বাবা।
শনিবার ওই তরুণীর বাবা উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা বিপুল আচার্য অন্য দুই আত্মীয়ের সঙ্গে কালনা আদালতে আসেন। আইনজীবী এবং বিচারকদের তাঁরা জানান, বছর খানেক আগে কল্যাণগড়ের প্রীতম নাগের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে জামাই ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে গোয়া বেড়াতে যায়। ২৩ তারিখ জামাইয়ের এক বন্ধু টেলিফোনে খবর দেয়, মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। হোটেলের ঘর থেকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে বলেও জানায় সে। তবে বিপুলবাবুর দাবি, বিষয়টি আত্মহত্যা নয়। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গোয়ার কালাঙ্গুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন তিনি।
কালনা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের আশ্বাস, সমস্ত রকমের আইনি সহায়তা করা হবে। আইনজীবী পার্থসারথি কর বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে পরিবারটিকে অশোকনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ না নিতে চাইলে বারাসত আদালতে এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy