ডাইনি অপবাদে এক আদিবাসী দম্পতিকে দিনের পর দিন নির্যাতন করার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, জামালপুরের গোপীকান্তপুরের ওই দম্পতিকে ভূত তাড়ানোর নামে নির্যাতন করা হয়। জরিমানা করে মল, বমি খেতেও বাধ্য করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরে ১২ জনের বিরুদ্ধে মারধর, টাকা আদায়, শ্লীলতাহানি, ভীতি প্রদর্শন, খুনের চেষ্টার অভিযোগ করে পুলিশ। মামলা রুজু হয় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা আইনেও।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই দম্পতিকে মারধর করে পাশের একটি ক্লাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সালিশি সভা বসিয়ে গ্রামেরই কয়েকজন চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে অবশ্য তা কমে পঁচিশ হাজার হয়।ওই দম্পতির অভিযোগ, সেই টাকা দিতে না পারায় তাঁদের হুগলির ত্রিবেণীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মহিলাকে সকলের সামনে পোশাক পাল্টাতে বাধ্য করা হয়। আর পুরুষটির মাথা ন্যাড়া করে ভূত তাড়ানোর নামে গঙ্গার ঘাটে নির্যাতন চালানো হয়। পুলিশের কাছে ওই দম্পতির আরও অভিযোগ, ওই দিন রাতে তাঁদের লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মুড়ি খেতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, মল,বমিও খেতে বাধ্য করে অভিযুক্তেরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই দম্পতি জামালপুর থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর প্রতিলিপি দেওয়া হয় জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও বিডিওকে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব খোঁজ খবর নেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পণ্ডিত মুদি, অভিজিৎ মুদি, বাপন মুদি ও শম্ভু মুদিকে গোপীকান্তপুরের বাড়ি থেকেই ধরা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের তিন দিন জেল হাজত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy