E-Paper

মেডিক্যালে কত শয্যা ফাঁকা, জানাবে বোর্ড

বর্ধমান মেডিক্যালে রোগীর চাপ বরাবরই বেশি। দুই বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে প্রচুর মানুষ এই হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করান।

সুপ্রকাশ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২১
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ফাঁকা শয্যা সংখ্যা জানাবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। বৃহস্পতিবার এই বোর্ড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উল্টোদিকে পুলিশ ক্যাম্পে বসানো হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এই বোর্ডে দেখা যাচ্ছে কোন বিভাগে ক’টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। 'সেন্ট্রাল রেফার সিস্টেম' চালুর ক্ষেত্রে এটি প্রথম পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের বাইরে এই বোর্ড দেখতে শুক্রবার সকালে অনেক রোগীর পরিজনেরা ভিড় করেন। মেডিসিন, শল্য, অস্থি, শিশু, নাক-কান-গলা বিভাগ এবং হাসপাতালে অন্য মহিলা এবং পুরুষ বিভাগে কত শয্যা ফাঁকা রয়েছে তার হিসেব বোর্ডে দেখা যাচ্ছে। আর জি কর-কাণ্ডের পরে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে এই ব্যবস্থা ও কেন্দ্রীয় রেফারাল সিস্টেম চালুর কথা বারবার উঠে এসেছিল। সেই দিকেই এক কদম এগিয়ে গেল বর্ধমান মেডিক্যাল।

বর্ধমান মেডিক্যালে রোগীর চাপ বরাবরই বেশি। দুই বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে প্রচুর মানুষ এই হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করান। পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকেও রোগীরা এখানে আসেন। বর্ধমানের পাশ দিয়ে যাওয়া ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আনা হয় এই হাসপাতালে। ফলে প্রতিবছর এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি হন এক লক্ষের বেশি।

গত কয়েক বছরে রোগী ভর্তির পরিসংখ্যানটা ঠিক এরকম— ২০২০ সালে ১,০৬,৩৪৪ জন, ২০২১ সালে ১,১৩,৯৭৪ জন, ২০২২ সালে ১,১৯,৫৮৩ জন এবং ২০২৩ সালে ১,২০,৫৩৭ জন। বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজে অনুমোদিত শয্যার সংখ্যা ১২৩৬টি।

মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষরে একাংশের দাবি, এর থেকে অনেক বেশি রোগীই এখানে ভর্তি থাকেন। অনেক সময় শয্যা না পেয়ে পেয়ে অশান্তিতেও জড়িয়ে পড়েন রোগের পরিজনরা। এই ব্যবস্থা চালুর ফলে রোগের পরিজনদের কাছেও আগে থেকেই শয্যা না থাকা বা কম থাকার ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্য কর্তারা মনে করছেন।

এই প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভাবনের নির্দেশে এই ডিসপ্লে বোর্ড চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের পোর্টালের সঙ্গে লিঙ্ক করে এই তথ্য জানানো হচ্ছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালুর পথে আমরা এগিয়ে যাব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy