Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

খুনের ‘হুমকি’ নেতার ছেলেকে

সোমবার সন্ধ্যায় উপপ্রধান সুবোধ ঘোষের বাড়িতে ‘হামলা’ হয়। তাঁর স্ত্রী মাধবীদেবীর দাবি ছিল, বিজেপির ৫০-৬০ জন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালিয়েছে বাড়িতে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গলসি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০১:০৭
Share: Save:

উপপ্রধানের বাড়িতে হামলার পরের দিনই তাঁর ছেলেকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গলসি ২ ব্লকের ভুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষ কামালপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সুমন ঘোষের অভিযোগ, স্কুলে গেলে রাস্তায় ফেলে কেটে খুন করা হবে বলে বাড়িতে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বিজেপির লোকেরা। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের (গলসি চক্র) কাছে বদলির আবেদনও করেছেন তিনি। বিজেপির যদিও দাবি, পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ।

সোমবার সন্ধ্যায় উপপ্রধান সুবোধ ঘোষের বাড়িতে ‘হামলা’ হয়। তাঁর স্ত্রী মাধবীদেবীর দাবি ছিল, বিজেপির ৫০-৬০ জন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালিয়েছে বাড়িতে। মারধর করা হয়েছে তাঁর দুই ছেলে, বৌমা ও এক আত্মীয়কে। ১১ জনের নামে গলসি থানায় অভিযোগও করেন তিনি। সুমনবাবুর দাবি, ওই হামলা পরে ফিরে যাওয়ার সময় স্কুলে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন সুমনবাবু। বছর চারেক আসে আসেন ঘোষকামালপুরের স্কুলে। তাঁর দাবি, ‘‘বাবা তৃণমূল করেন এটাই অপরাধ। ওই দিন বাবাকে মারতে এসে বাড়িতে না পেয়ে আমাদের মারধর করে, ভাঙচুর করে। প্রাণে মারার হুমকি দেয়। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গল, বুধবার স্কুলে যাননি ওই শিক্ষক। সুবোধবাবুর দাবি, ‘‘বাড়িতে এসে এক জন শিক্ষককে খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কোন সাহসে ছেলে স্কুলে যাবে। বদলি না হলে ওকে শিক্ষকতা ছেড়ে দিতে হবে।’’ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ন্ত ঢালি বলেন, ‘‘সুমনবাবুর আবেদন পেয়েছি। জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলে ওঁর আবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

লোকসভা ভোটের পরে ভুড়ি অঞ্চলের ঘোষকামালপুর, কেটনা, জুজুটি এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেড়েছে। তারপর থেকেই তৃণমূল কর্মীদের জোর করে দলে টানার চেষ্টা, মারধরের অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। রয়েছে পাল্টা মার, হুমকির নালিশও। গলসির বিজেপি নেতা কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপির বদনাম করা হচ্ছে।’’

এ দিনই উপপ্রধানের বাড়িতে হামলার অভিযোগে মিঠুন বিশ্বাস, সুশান্ত বৈরাগী ও তারকচন্দ্র মির্ধা নামে তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বাড়ি ভুড়ি পঞ্চায়েতের জুজুটি, হাটতলা, নতুনপল্লি এলাকায়। বুধবার তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তারক ও মিঠুনকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজত ও সুশান্তকে আট দিনের জেল-হাজতে পাঠান বিচারক। বিজেপির দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কর্মীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Galsi BJP TMC Threat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE