উচ্ছেদ অভিযান শেষ হতে না হতেই ফের রাস্তার দু’পাশের অংশ হকার এবং দোকানদারদের একাংশের দখলে চলে গিয়েছে, এই অভিযোগ উঠেছে কুলটির নিয়ামতপুরে। জায়গা দখলমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন আসানসোল পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা দেওয়ার পরে অভিযানে নামে আসানসোল পুরসভাও। প্রথমে মাইকে ঘোষণা করে সতর্ক করে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরে অভিযানে নামে পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কিন্তু গত সোমবার অভিযান শেষ হওয়ার সাত দিনও কাটেনি। ফের রাস্তা দখল হয়ে গিয়েছে।
সোমবার নিয়ামতপুরে জিটি রোডের সংযোগস্থল থেকে লিথুড়িয়া রোড পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা অভিযান চলেছে। ওই দিন রাস্তা দখল করে বসে থাকা হকারেরা দ্রুত সরে গিয়েছিলেন। দোকানের সামনের রাস্তা দখল করে বাঁশ, ত্রিপল, দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি করা অস্থায়ী নির্মাণও খুলে নিতে দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই জিটি রোডের সংযোগস্থল থেকে লিথুড়িয়া রোডের মাছবাজার পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেল, বোঝার উপায় নেই এখানে রাস্তার দু’পাশের দখল তুলতে পুর-অভিযান হয়েছে। একই অবস্থা জিটি রোডেরও। তবে নিয়ামতপুর নিউ রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জিটি রোডের দু’পাশ এখনও দখলমুক্ত রয়েছে।
সোমবার নিয়ামতপুরে অভিযানের সময়ে সীতারামপুর স্টেশন রোডের দু’পাশের অংশ ফাঁকা করার দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। তাঁদের সেই দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, এলাকার দোকান মালিকেরা এখনও রাস্তা দখল করে অস্থায়ী নির্মাণ তুলে রেখেছেন। ফলে, রাস্তার উপরেই পার্কিং করা হচ্ছে টোটো ও স্কুটার, মোটরবাইক। বাসিন্দা কমল গুপ্ত বলেন, “লিথুড়িয়া রোড, স্টেশন রোড ধরে যাতায়াত করা যায় না। প্রায় দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচলতি মানুষজনদের সঙ্গে দোকানমালিক ও হকারদের বিবাদ লেগেই থাকছে।”
মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের আশ্বাস, অভিযান থামবে না। নিষেধ করার পরেও যাঁরা জায়গা দখল করে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)