টানা বৃষ্টি হচ্ছে বুধবার থেকে। মেঘলা আকাশ, সঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। এই পরিস্থিতিতে জেলার নানা প্রান্তের চাষি ও কৃষি-কর্তাদের একাংশ ফসলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
বৃহস্পতিবার দিনভর ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। কালনা, পূর্বস্থলীর বেশ কয়েক জন চাষি জানান, রবি মরসুমের মুখে যত বেশি বৃষ্টি হবে, তত নানা চাষে বাড়বে ক্ষতির বহর। জেলায় আমন ধানের চাষই সব থেকে বেশি হয় বলে কৃষি দফতর জানায়। ইতিমধ্যেই স্বল্পমেয়াদি আমন ধান (যেমন, ‘মিনিকিট’, ‘রত্না’, ‘ক্ষিতীশ’ প্রভৃতি) নানা জায়গায় কাটাও শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে সেই সব কাটা ধানের অঙ্কুরোদগম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে বেশির ভাগ জমিতে বর্তমানে রয়েছে লালস্বর্ণ প্রজাতির দীর্ঘমেয়াদি ধান। সেগুলির বয়স, এই মুহূর্তে ১০০ থেকে ১১০ দিন। কৃষিকর্তাদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়াই ‘ঝলসা’ ও ‘ধসা’ রোগ দেখা দিতে পারে এই সব ধান গাছে। তা ছাড়া, টানা বৃষ্টির পরে আচমকা ভাল ঠান্ডা পড়লে ধানের ফলন মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা।