Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
storm

Storm: উড়ে গেল বহু ঘরের চালা, আহত ৫

শুক্রবার ঝড়ে কাটোয়ার টিকরখাঁজি গ্রামে বাড়িতে রাখা ইটের স্তূপ পায়ে পড়ে গুরুতর জখম হন মালতি সোরেন নামে এক মহিলা।

বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে কেতুগ্রামের কাঁটারি গ্রামে।

বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে কেতুগ্রামের কাঁটারি গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া ও জামালপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২২ ০৭:১৫
Share: Save:

শুক্রবারের পরে শনিবার সন্ধ্যায় ফের ঝড়-বৃষ্টি হল পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায়। গুসকরা, শক্তিগড়, ভাতার-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ দিন ঝড়ের দাপট কম থাকলেও শুক্রবারের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকা। মোট পাঁচ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে।

কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, কাটোয়া ১ ও ২ ব্লকের বহু কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। বিঘার পরে বিঘা জমির ধান জল-কাদায় নুইয়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। কাটোয়া ও দাঁইহাট শহরেও নদী তীরবর্তী এলাকায় বেশ কিছু ঘরের চাল উড়েছে। কাটোয়া শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উল্টে বিদ্যুতের তারের উপরে পড়ে। ডাকবাংলা রোডে একটি টেলিফোনের টাওয়ার উপড়ে যায়। কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ঝড়ে কাটোয়া শহরে বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। কাটোয়া ১ ও ২ ব্লকে চাষে ক্ষতি হয়েছে।”

শুক্রবার ঝড়ে কাটোয়ার টিকরখাঁজি গ্রামে বাড়িতে রাখা ইটের স্তূপ পায়ে পড়ে গুরুতর জখম হন মালতি সোরেন নামে এক মহিলা। মঙ্গলকোটের বাইরো গ্রামে ঝড়ে টিনের চালা উড়ে এসে পায়ে পড়ায় জখম হন নীলিমা পাল। তাঁদের কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জামালপুরের চকদিঘি পঞ্চায়েতের দক্ষিণশুড়া গ্রামে একটি মাটির বাড়ির উপরে নারকেলগাছ ভেঙে পড়ায় আহত হয় এক শিশু কন্যা সহ তিন জন। জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়। বিডিও (জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, “শনিবার সকালে আমরা ঘটনার কথা জানতে পারি। জেলা প্রশাসনকে সবিস্তার জানিয়েছি।’’

কেতুগ্রাম ২ ব্লকের কেউগুরি, বন্দর, সীতাহাটি এলাকায় ঝড়ে বহু বাড়ির চাল উড়ে যায়। জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। কেউগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নিমাই ঘোষ বলেন, “আচমকা ঝড়ে আমাদের গ্রামে অনেকেরই কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। আর কিছু দিন পরেই ধান ঘরে তুলতাম। কিন্তু তার আগেই ধান নুইয়ে জমিতে মিশে গেল। কী করে ক্ষতি সামাল দেব, তা বুঝতে পারছি না!” কেতুগ্রাম ২ ব্লক কৃষি আধিকারিক অনিত্রা আলি বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ঝড়ে ধান চাষে খুব একটা ক্ষতি হয়নি।’’

এসডিও (কাটোয়া) জামিল ফতেমা জেবা বলেন, “ঝড়ের প্রভাবে মহকুমা জুড়ে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

storm Homes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE