চলছে সাফাই। —নিজস্ব চিত্র।
একাধিক বার অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর নিয়ে সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রোগীরা। তা পরিষ্কার করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকে নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছিল না। বুধবার রান্নাঘরে তালা লাগিয়ে দিলেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য নিজেই তালা খুলে দেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে খাওয়ার দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। রান্নাঘরের দেখভালের দায়িত্বও তাদের। দীর্ঘদিন ধরেই রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সুপারের কাছেও অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে সুপার দেবব্রতবাবু রান্নাঘর পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন। কিন্তু বেশ কয়েক বার বলার পরে ওই সংস্থা তা করেনি বলে অভিযোগ। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ রান্নাঘরে যান তিনি। সেই সময় রোগীদের জন্য রান্না চলছিল। দেবব্রতবাবু কর্মীদের বাইরে বের করে রান্নাঘরে তালা লাগিয়ে দেন। দেবব্রতবাবুর দাবি, ওই সংস্থা তাঁর নির্দেশ না মানায় বাধ্য হয়েই এ দিন তালা লাগিয়ে দেন। ঘণ্টাখানেক পরে ওই কর্মীরা রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি তালা খুলে দেন। পরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করান। হাসপাতাল চত্বরও এ দিন পরিষ্কার করান সুপার।
তবে এর জেরে রোগীদের নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার দেওয়া যায়নি। রোগী নিমাই হাজরা, মুকেশ মাহাতোরা বলেন, ‘‘সময়ে খাবার না আসায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। কেন দেরি হচ্ছে, বুঝতে পারছিলাম না। পরে বিষয়টি জানতে পারি।’’ সুপারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন রোগীদের অনেকেই। দেবব্রতবাবু জানান, আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে বলা হয়েছিল রান্নাঘরের কর্মীদের। কিন্তু তাঁরা সে কথা কানে তোলেননি। এর পরে সঠিক ভাবে রান্নাঘরের পরিচ্ছন্ন রাখা না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে ওই সংস্থার কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy