ধৃত দুই সুপারি কিলারকে দিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল যুবনেতা চঞ্চল বক্সী খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাল পুলিশ। খুনের ঘটনায় ধৃত দুই সুপারি কিলার শেখ শের আলি ও ইমরান কুরেশিকে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। চঞ্চলকে কী ভাবে গুলি খুন করেছিল তা অভিনয় করে দেখায় ধৃতরা।
ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছে, চঞ্চলকে খুন করার জন্য তারা একটি বাইকে চেপে আসে। গেঁড়াই গ্রামের কাছে কুনুর সেতুর পাশে একটি হোটেলের বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে। ততক্ষণে গেঁড়াই থেকে দেবশালার প্রধান শ্যামল বক্সীকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে ফিরছিলেন তাঁর ছেলে চঞ্চল। তখন তাঁদের পিছু নেয় শের আলি এবং ইমরান। ভাতকুণ্ডা ঢোকার আগে জঙ্গলের রাস্তাতেই চঞ্চলকে খুব কাছ থেকে গুলি করে শের আলি। প্রমাণ লোপাটে নিজের পরনের জামা খুলে ফেলে অন্য জামা পরে চম্পট দেয় শের আলি। তবে জামা খোলার সময় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি রাস্তার উপরে পড়ে যায়। সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের গেঁড়াই থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের যুবনেতা চঞ্চল। সিট গঠন করে এই খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক সপ্তাহের মধ্যেই দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের সদস্য আসানুর মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা পড়েন পঞ্চায়েত সদস্য মনির হোসেন মোল্লা এবং তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চল সভাপতির ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডল। তাঁদের জেরা করে ভাতকুণ্ডা গ্রামের আয়ুব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর ধৃতদের জেরা করে গত বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকা থেকে মহম্মদ পাপ্পু ও মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে পিন্টু নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। খুনের পর ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা। এর পর পুলিশ ধৃতদের জেরা করে শেষমেশ দুই সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy