বার্নপুর থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি আটক করল পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। রাজ্যে কী করে প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলতে পারে বাজির বেআইনি কারবার, তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। এই প্রেক্ষিতে খবর পাওয়া গেল, আসানসোলের বার্নপুর থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই বাজি মজুতের প্রশাসনিক অনুমতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দত্তপুকুরে বাজি কারখানার বিস্ফোরণ ঘটনার পরেই যেন নড়েচড়ে বসল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বার্নপুরের রামবাঁধ এলাকায় একটি গুদামে তল্লাশি অভিযান চালায় হিরাপুর থানার পুলিশ। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বাজি। এত পরিমাণ বাজি মজুত কে করল? বাজি মজুত করার জন্য যে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা সরকারি অনুমতিপত্রে প্রয়োজন হয়, তা ছিল কি? তদন্ত শুরু করেছে হিরাপুর থানার পুলিশ। গুদামের মালিক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের এসিপি ঈশিতা দত্ত বলেন, ‘‘বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বাজি মজুতের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স আছে কি না। কী ধরনের বাজি, কত ওজন বাজির, তা খতিয়ে দেখছি। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে।’’
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় অন্তত ন’জনের। আহত হন আরও অনেকে। এই ঘটনার পরেই প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের একটি অংশের অভিযোগ, পুলিশ এবং তৃণমূল নেতাদের যোগসাজশের জেরেই রমরমিয়ে বাজির কারবার চলছিল। যদিও স্থানীয় তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের অভ্যন্তরেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, নিষেধ সত্ত্বেও কী করে বার বার বেআইনি বাজির কারখানা চলছে? এই পরিস্থিতিতে আসানসোলে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার করল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy