পাচারকারী সন্দেহে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র
বাইশটি বস্তায় ৬৮৯টি কচ্ছপ উদ্ধার হল। মঙ্গলবার দুর্গাপুর স্টেশনে ডাউন দুন এক্সপ্রেস থেকে কচ্ছপগুলি উদ্ধার হয়। ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো’-র দেওয়া সূত্র ধরে অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি। কচ্ছপ পাচারের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশনে মাঝেসাঝেই কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। দু’দিন আগেও কয়েকটি কচ্ছপ উদ্ধার হয় এই একই ট্রেন থেকে। তার পরেই তৎপর হয় ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো’। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, আসানসোল থেকে ট্রেনে পাচারকারীদের অনুসরণ করা হচ্ছিল। সকাল ৯টা নাগাদ ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশনে ঢুকতেই ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো’ ও সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে কচ্ছপগুলি। কচ্ছপগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত চার জনকে পাঠানো হয় কোকআভেন থানায়।
পুলিশ জানায়, ধৃত লক্ষ্মণ কুমার, সুনীল কুমার, রাজ কুমার ও রাজু কুমার উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের ভাদা এলাকার বাসিন্দা। দুন এক্সপ্রেসের এস-১১ কামরা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। মোট ২২টি বস্তায় ৬৮৯টি ছোট কচ্ছপ মিলেছে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতেরা জেরায় তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, কচ্ছপভর্তি বস্তাগুলি সুলতানপুর থেকেই ট্রেনে তোলা হয়। কিন্তু এতগুলি বস্তা কামরায় তোলার নেপথ্যে রেলের কোনও কর্মীর যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তদন্তকারীরা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে পুরো চক্রটির সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ধৃতেরা আরও জানিয়েছে, তাদের ব্যান্ডেলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি সম্ভবত গঙ্গা থেকে ধরে আনা হয়েছে। ডিএফও (দুর্গাপুর) মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘যে কচ্ছপগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি ‘গ্যাঞ্জেস সফট শেলড টার্টেল’ হিসেবে পরিচিত। সাধারণত নদীতে পাওয়া যায়। মাংসের চাহিদা মেটাতে কচ্ছপ ধরা হয়ে থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy