জাল টাকা পাচারে জড়িত থাকার দায়ে তিন জনের যাবজ্জীবন ও দু’জনের পাঁচ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়েছেন দু’জন।
আসানসোল সিবিআই আদালতের আইনজীবী আশিস মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১০ সালে জাল টাকা পাচার সংক্রান্ত দু’টি মামলা দায়ের করেছিল ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স দফতর। তারা অভিযোগ করেছিল, সে বছর ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতা-যোগবাণী এক্সপ্রেস থেকে নিউ ফারাক্কা স্টেশনে নামে সাবির শেখ নামে এক ব্যক্তি। সে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল নোট পাচারের জন্য নাথুরা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে দেয়। এ বিষয়ে ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স দফতরের কাছে আগাম খবর ছিল। তাই অফিসারেরা ওঁত পেতে ছিলেন। হাতেনাতে ওই দু’জনকে ধরা হয়। ধৃতদের থেকে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত জামাল শেখ ও নিখিল মণ্ডল নামে আরও দু’জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়। এর ঠিক এক মাসের মাথায় ফের ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স দফতর আরও একটি জাল টাকা পাচারের খবর পায়। এ বার মালদহ ডিভিশনের ধুলিয়ান স্টেশনে তিন জনকে হাতেনাতে ধরেন দফতরের অফিসারেরা। আজিমগঞ্জ-বারহাওড়া প্যাসেঞ্জার থেকে নেমে সাকিল মিঞা নামে এক ব্যক্তি স্টেশনে বসে থাকা দুই মহিলা টুম্পা বসাক ও গীতা বসাকের হাতে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল নোট তুলে দিচ্ছিল। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা সকলেই মালদহের বাসিন্দা।
আইনজীবী আশিসবাবু জানান, সাড়ে চার বছর ধরে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলেছে। শুনানি চলাকালীন ১৯ জনকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করানো হয়েছে। সোমবার দু’টি মামলারই রায় ঘোষণা হয়। বিচারক সৌম্যব্রত সরকার সাকিল মিঞা, সাবির শেখ ও নাথুরা মণ্ডলকে যাবজ্জীবন এবং টুম্পা ও গীতার পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনান। এ ছাড়া প্রত্যেককে তিরিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দেড় বছর সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy