দুর্গাপুরে আজ থেকে রাস্তায় নামছে এই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বের সব ব্লাড ব্যাঙ্ককে ২০২০ সালের মধ্যে পুরোপুরি স্বেচ্ছা রক্তদাতা নির্ভর করে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই উদ্দেশ্যে ‘দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম’ও কাজ শুরু করেছে বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নানা পরিকল্পনা হচ্ছে।’’
রক্তের অভাবে রোগীমৃত্যু ঠেকাতে হাতের কাছে রক্তদাতার জোগান নিশ্চিত করার জন্য ‘মিশন ২০২০’ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সব দেশের সব রক্তদাতা সংগঠনকে তা বাস্তবায়িত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। দুর্গাপুরের সংগঠনটি রক্তদাতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মাত্র ৮৯ জন সক্রিয় কর্মী নিয়ে গড়ে ওঠে ২০০১ সালে। এখন নথিবদ্ধ রক্তদাতা প্রায় ৭ হাজার। রক্তদানে উৎসাহ বাড়াতে নিয়মিত কর্মসূচি হয়। ‘মিশন ২০২০’ সফল করতে এ বার বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু করতে চলেছে সংগঠনটি।
কবিবাবু জানান, তিন বছরের মধ্যে মহকুমার ১ লক্ষ মানুষকে রক্তদানের প্রচারে সামিল করা হবে। ২৫ হাজার পরিবারের কাছে রক্তদানের আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা হয়েছে। মহকুমার বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় সপ্তাহে ২-৩ দিন প্রচার চালিয়ে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। সমস্ত অন-কল রক্তদাতাদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। মহকুমার সব স্কুল, কলেজ ও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক প্রচার চালানো হবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরি করা হবে। তাতে কেউ রক্তদান করতে চাইলে কবে কোথায় শিবির রয়েছে তা আগেভাগে জানতে পারবেন। চারশো রক্তদাতা সংগঠনকে বেছে নিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। ফলে, কোনও এলাকায় রক্ত সংগ্রহের ঘাটতি পূরণে বা স্থানীয় সংগঠনের কাছে বিশেষ গ্রুপের রক্তদাতা না থাকলে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য রক্তদাতা জোগাড় সহজ হবে।
প্রচার অভিযানের জন্য রক্তদাতা সংগঠনকে একটি গাড়ি দিয়েছেন এক বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষ। আজ, বুধবার ‘অনুপ্রেরণা রক্তদান’ নামে গাড়িটি রক্তদানের ডাক দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বলে জানান কবিবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy