Advertisement
E-Paper

কর্মী সঙ্কটে তালা পড়েছে বহু গ্রন্থাগারে

কর্মী নেই। কোথাও তার জন্য ইতিমধ্যেই তালা ঝুলেছে। কোথাও বা তালা খোলে সপ্তাহে মাত্র দু’-তিন দিন। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের গ্রন্থাগারগুলির এমনই হালের তথ্য উঠে এল সম্প্রতি আয়োজিত গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার দফতরের মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রথম বৈঠকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০০:০৭

কর্মী নেই। কোথাও তার জন্য ইতিমধ্যেই তালা ঝুলেছে। কোথাও বা তালা খোলে সপ্তাহে মাত্র দু’-তিন দিন। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের গ্রন্থাগারগুলির এমনই হালের তথ্য উঠে এল সম্প্রতি আয়োজিত গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার দফতরের মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রথম বৈঠকে।

জেলা পরিষদের অঙ্গীকার হলে আয়োজিত ওই বৈঠকে গ্রন্থাগারিকেরা গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো উন্নতিতে জোর দেওয়ার আবেদন জানান।

প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই জেলায় সরকারি গ্রন্থাগারের সংখ্যা ২১৭টি। কর্মী না থাকায় কী কী অসুবিধা হচ্ছে? গ্রন্থাগারিকেরা জানান, কর্মী না থাকাই পুঁথি সংরক্ষণের কাজ আটকে রয়েছে। জেলায় ২০টি ‘টাউন লাইব্রেরি’তে কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত বই খোঁজার ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু কর্মী না থাকায় সেই কম্পিউটারগুলিতেই ধুলো জমছে। এক গ্রন্থাগারিকের অভিযোগ, “চাকরি সংক্রান্ত নানা তথ্য গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলিতেও পাওয়া যায়। তাই ভিড় বেড়েছে। কিন্তু কর্মী না থাকায় প্রতি দিনের কাজ সামলাতে হিমসিম হতে হচ্ছে।’’

জেলা গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক-সহ দু’জন, টাউন বা মহকুমা গ্রন্থাগারে চার জন ও জেলা গ্রন্থাগারে ১২ জন কর্মী থাকা প্রয়োজন। এই হিসেব অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানের ১৫১টি গ্রন্থাগারে ৩৪০ জন কর্মী থাকা দরকার। রয়েছেন মাত্র ১৫৮ জন। অন্য দিকে পশ্চিম বর্ধমানে ৬৬টি গ্রন্থাগারে মোট একশো জন কর্মীর অভাব রয়েছে। দুই জেলার শহরাঞ্চলে ১১টি জায়গায় ও গ্রামীণ এলাকায় ৭৪টি গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক নেই। এমনকী, জেলা গ্রন্থাগার অফিসারকেই (ডিএলও) পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ছাড়া আরও দু’টি জেলার দায়িত্বভার সামলাতে হচ্ছে। বর্ধমানের ডিএলও সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এক-এক জন গ্রন্থাগারিককে দু’তিনটে গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। সমস্যা বেশ ভালই হচ্ছেই।”

ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা, গ্রন্থাগারে ইংরেজির এবং যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। গ্রন্থাগারের ভবন তৈরি ও সংস্কারের জন্য স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানানো হবে। দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “গ্রন্থাগারের শূন্য পদের তালিকা তৈরি করে অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললেই কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’

Library Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy