তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে তেতে উঠল মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকা। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় উভয় গোষ্ঠীর ৮ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। এই ঘটনায় পুলিশ রমজান শেখ এবং আলমগির শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় একতা মঞ্চের কাছে দলের একটি কার্যালয়ের সামনে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই কুসুমগ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা ও স্থানীয় উপ প্রধান কিতাবুল শেখ এবং রসিদ শেখ গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। গত দু’বছরে বার বার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রসিদ শেখের দাবি, তিনি যখন দলের কার্যালয়ে বসেছিলেন তখন কিতাবুল শেখের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দলের ব্লক সভাপতি সজল পাঁজার নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।’’ তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় পথ আটকানো হয় বলেও অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিতাবুল শেখ। তাঁর দাবি, এলাকায় একটি নালা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। পঞ্চায়েতে আলোচনার পর সেই সমস্যা মিটেও গিয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনাকে ফের ইস্যু করে রসিদ শেখ। তাই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওদের উপর চড়াও হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই কুসুমগ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা কিতাবুল শেখ এবং রসিদ শেখ গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। তৃণমূল কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার পর কিতাবুল শেখ উপ প্রধান নির্বাচিত হন। রসিদ শেখের স্ত্রী হাসমা শেখ মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে সেই নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। সম্প্রতি কালবৈশাখি ঝড়ে এলাকার কিছু গাছ ভেঙে পড়েছিল। কোনও টেন্ডার ছাড়াই সেই গাছগুলি পঞ্চায়েত বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই এই অশান্তি।
দলের মন্তেশ্বর ব্লক সভাপতি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি ওই এলাকায় ছিলাম না। পুলিশের থেকে গণ্ডগোলের খবর পাই। পুলিশকে রাজনৈতিক রং না দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy