সরকারি পরিবহণ সংস্থা এসবিএসটিসি-র সমবায় ভোটে শেষমেশ মুখোমুখি লড়াই হল আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠীর। সব আসনে জয়ী হলেন একটি গোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
এই ভোটে তৃণমূলের বাধায় মনোনয়ন তোলা যায়নি বলে থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিটু। ১৫টি আসনের জন্য আইএনটিটিইউসি দ্বিগুণ সংখ্যক মনোনয়ন তুলেছিল। তৃণমূলের নেতারা দাবি করেছিলেন, বুঝিয়ে-সুজিয়ে অর্ধেক মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হবে। কিন্তু তা আর হয়নি। বুধবার সন্ধ্যায় ভোটপর্ব মেটার পরে দেখা যায়, সব আসনেই জয়ী হয়েছেন আইএনটিটিইউসি নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। উত্তমবাবু বলেন, ‘‘সমঝোতার রাস্তা খোলা ছিল। কিন্তু অন্য পক্ষ সে রাস্তায় হাঁটেনি। তাই ভোট হয়েছে।’’
এসবিএসটিসি-র সাতটি ডিপোয় তিন দফায় নির্বাচন হয়। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া ডিপোয় ৭ মে, আরামবাগ, কালনা ও বর্ধমানে ১১ মে এবং আসানসোল ও দুর্গাপুরে ১৩ মে ভোট ছিল। ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ৭৭৩ জন। মনোনয়ন তোলার শেষ দিন ছিল ১৩ এপ্রিল। সিটুর অভিযোগ, সে দিন দু’দফায় মনোনয়ন তুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁদের প্রার্থীরা। মারধরও করা হয় ছ’জনকে। প্রতিবাদে কোকওভেন থানায় সিটুর পক্ষ থেকে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে সিটুর তরফে কোনও মনোনয়ন তোলা না হলেও আইএনটিটিইউসি-র নামে মোট ৩০টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে এসবিএসটিসি ডিপোতে উত্তম মুখোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণ ঘোষ নামে দুই আইএনটিটিইউসি-র নেতার অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দুই গোষ্ঠীই ১৫টি করে মনোনয়ন তোলে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরোনোর আগে দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেবে বলে দাবি করেছিলেন সংগঠনের নেতারা। কিন্তু তা হয়নি। কৃষ্ণবাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। সংগঠন সূত্রে খবর, তিনি জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। প্রভাতবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘সংস্থার শ্রমিক-কর্মীরা স্পষ্ট রায় দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy