মন্তেশ্বরের পর বর্ধমানেও আর এক ইরানি নাগরিক ধরা পড়লেন। ধৃতের নাম মাজিদ মহম্মদ হোসেনি (৫০)। তাঁকে রবিবার বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারকে তাঁকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কাঁটাপুকুরের একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নিতে যান ওই ইরানি নাগরিক। হোটেলের ম্যানেজার তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে দেখা যায়, তাঁর ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গিয়েছে। এর পর হোটেল ম্যানেজার বর্ধমান থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। কিন্তু ভাষা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ইরানি নাগরিকের সমস্যা হয়। তার পর গুগল অনুবাদক ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে, ইরানের তেহরানে তাঁর বাড়ি। তিনি কলকাতায় ছিলেন। ধৃত পুলিশকে জানায়, দিল্লিতে তিনি থাকেন। দিল্লি থেকে চারচাকা করে কলকাতা এসেছিলেন। এখন তিনি আবার দিল্লি যাচ্ছিলেন। রাস্তায় ক্লান্ত বোধ করায় বর্ধমানের একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নিতে যান।
গত শুক্রবার পুলিশ ইরানি নাগরিক বাবা এবং তাঁর ছেলে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হলেন আলি মাহাবুবি ও তাঁর ছেলে আমির আব্বাস মাহাবুবি। তাঁদের বাড়ি ইরানের তেহরানের খানিয়াবাদে। শুক্রবার রাতে একটি চারচাকা গাড়িতে করে বাবা আলি মাহাবুবি ও ছেলে আমির আব্বাস মাহাবুবি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের হোসেনপুর গ্রামে যান। সেখানে একটি সোনার দোকানে চুরির চেষ্টার অভিযোগে ধরা পড়েন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি পাসপোর্ট ও প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বাবা ও ছেলে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাঁরা এ দেশে থেকে গিয়েছেন।