—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির সমর্থনে পঞ্চায়েতে মা নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। এই জন্য এক তৃণমূল নেতা প্রার্থীর বছর দশেকের মেয়েকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার পরে থেকে তিন মাস ধরে খোঁজ মিলছে না বালিকাটির। পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে এই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ও তদন্তের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে রবিবার হরিপুর বাজারে অবস্থানে বসে ‘ভূমিপুত্র অধিকার মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবস্থান ওঠে। পুলিশ অপহরণের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতা হুমকির অভিযোগ মানেননি।
নবগ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই নির্দল প্রার্থী জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির সমর্থনে ভোটে লড়েছিলেন। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকে তাঁকে তৃণমূল নানা ভাবে চাপ দেয়। তাঁর আরও অভিযোগ, “১ জুলাই গ্রামের তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডল আমার মেয়েকে বলেন, ‘তোর মা ভোটে দাঁড়িয়েছে। তোদের ভাল হবে না।’ এর পরে, ২ জুলাই থেকে মেয়ের খোঁজ মিলছে না।” বালিকাটির মায়ের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা তথা তাপসের ঘনিষ্ঠ দুলালি পাহাড়িয়া নামে এক জন ২ জুলাই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শাক তুলতে গিয়েছিলেন। তার পরে থেকেই মেয়ের খোঁজ নেই। তাপস অবশ্য বলেন, “কী হয়েছে জানি না। আমি কাউকে কোনও হুমকি দিইনি।”
বালিকাটির মায়ের অভিযোগ, ৩ জুলাই পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ নিজেই বয়ান লিখে দেয় ও তাতে তাঁকে সই করানো হয়। পরে, ওই প্রার্থী পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের (পশ্চিম বর্ধমান) দফতরে অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, “এতেও লাভ হয়নি। ফলে, এখন ভরসা সিবিআই তদন্ত।” একই দাবি ‘ভূমিপুত্র অধিকার মঞ্চের’ জেলা আহ্বায়ক সুমন্ত বাউড়িরও।
পুলিশ যদিও অভিযোগ মানেনি। পাশাপাশি, আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, “পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা দুলালির স্বামী ও জামাই, যথাক্রমে মঙ্গল ও বনমালী। দুলালি পলাতক। পাশাপাশি, তাপসের নামে এ পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “তৃণমূল হুমকি দিয়েছিল, এটা ঘটনা। পুলিশে আস্থা নেই। মেয়েটির খোঁজ পেতে ও ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের বক্তব্য, “আমাদের রাজ্যে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে। অপরাধে যে-ই জড়িত থাকুক, পুলিশ ব্যবস্থা নেবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy