‘আমরা আঠেরো’র জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র
করোনা অতিমারির কারণে প্রায় সমস্ত অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার খনি এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো আয়োজিত হচ্ছে এ বার। অণ্ডালের কাজোড়ায় ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাবের সহ-সভাপতি মলয় চক্রবর্তী জানান, ১০৩ বছর আগে কয়েকজন প্রবীণ বাসিন্দা পুজো শুরু করেছিলেন। তার পরে ৪০ বছর ধরে পুজো পরিচালনা করে আসছে ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাব। করোনা-বিধির কথা মাথায় রেখে এ বছর সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
রানিগঞ্জ বড়বাজারের ‘এবিসিডি’ ক্লাবের সম্পাদক সজল রক্ষিত জানান, শহরে দুর্গা, কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী পুজো আয়োজিত হলেও জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন ছিল না। এলাকাবাসীর চাহিদাতেই তাঁরা পুজো শুরু করেন। বড়বাজারের পুজো দেখে তাঁরাও ছ’বছর আগে পুজো শুরু করেন বলে জানিয়েছেন রানিগঞ্জ স্কুলপাড়ার দক্ষিণপল্লি সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক স্বরূপ রায়। আসানসোলের ধর্মপল্লিতে সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো ১৪ বছর আগে শুরু হয়েছে। কমিটির পক্ষে সুজিত বলও জানান, এ বার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে না।
সর্বজনীন পুজোর থেকে কোনও অংশে কম নয় পারিবারিক পুজোও। পাণ্ডবেশ্বর গ্রামের নামোপাড়ায় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো হয় ঘটের মাধ্যমে। প্রবীণ সদস্য শিশির বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নবমীর দিন, সোমবার প্রতিবেশীদের সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছে। রানিগঞ্জের স্কুলপাড়ায় চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো কয়েকশো বছরের পুরনো। সমস্ত অনুষ্ঠান বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য শান্তনু চট্টোপাধ্যায়। ১১৫ বছরে পা দিল জামুড়িয়ার ইকরা চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো।
এ দিকে, দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি আমবাগান এলাকার আঠারো জন মিলে ন’বছর আগে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন। তাই পুজো কমিটির নাম হয়েছে ‘আমরা আঠেরো’। এ বার এই পুজো নবম বর্ষে পড়ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy