Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
CPIM Leader

দুই নেতা খুনের বিচার হয়নি, সরব সিপিএম

২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে দেওয়ানদিঘিতে দলীয় কার্যালয়ের কাছে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ওই দুই নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে।

প্রদীপ তা ও কমল গায়েনকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র

প্রদীপ তা ও কমল গায়েনকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:১৫
Share: Save:

ঘটনার দশ বছর পার। এখনও সিপিএমের দুই নেতার খুনের মামলার বিচারই শুরু হয়নি।


সোমবার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা ও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য কমল গায়েনের স্মরণসভায় এসে দেওয়ানদিঘির মাঠ থেকে কর্মী-সমর্থকদের ‘অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে রাখা’র বার্তা দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘‘হত্যাকারীদের ভুলবেন না। শহিদদের হত্যাকারীদের যথাযথ বিচার যাতে হয়, সেই শপথ নিয়ে ফিরবেন।’’
আইনজীবীরা জানান, আগামী এপ্রিল মাসে ওই দুই নেতার খুনের মামলায় সাক্ষীদের ডেকেছে আদালত। তার পরে বিচারপর্ব শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এত দিন কী কারণে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, জানাতে পারেননি কেউ।


২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে দেওয়ানদিঘিতে দলীয় কার্যালয়ের কাছে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ওই দুই নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানায়, সিপিএমের ৫০-৬০ জনের একটি মিছিল দেওয়ানদিঘি-নাদনঘাট রাস্তা ধরে যাচ্ছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রদীপ তা ও কমল গায়েন। দলের জ়োনাল অফিস থেকে কয়েক মিটার দূরে তাঁদের রাস্তায় ফেলে ‘মারধর’ করা হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রদীপবাবু ও দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যান কমলবাবু। এ দিনের স্মরণসভায় তাঁদের পরিজনেরাও আক্ষেপ করছিলেন, দশ বছর হয়ে গেল, এখনও বিচার প্রক্রিয়ায় শুরু হল না! তবে আইনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।


পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার পরে বর্ধমান থানায় তৃণমূলের ২২ জনের নামে অভিযোগ করেছিলেন নিহত প্রদীপবাবুর ভাই প্রবীরবাবু। তাঁর অভিযোগ ছিল, লাঠি, টাঙি, কুড়ুল, রামদা, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে হামলা করা হয়। পরে, বর্ধমান জেলা পুলিশ সিআইডির হাতে তদন্ত-ভার তুলে দেয়। ২০১২ সালের ৯ মে সিআইডি ১৯ জনের নামে চার্জশিট দেয়। ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়। ফরেন্সিক রিপোর্টও আদালতে জমা পড়েছে।


বর্ধমান আদালতের আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, “প্রায় আট বছর ধরে বিচার শুরু হওয়ার জন্য মামলাটি আদালতে অপেক্ষমাণ। কী জন্য বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলতে পারব না।’’ অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এপ্রিল মাসে সাক্ষীদের ডেকেছেন বিচারক। তার পরেই বিচারের শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে, আশা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Justice CPIM Leader
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE