E-Paper

দু’বছরে দাম কমেছে অর্ধেক, ক্ষতির মুখে পাটচাষিরা

কাটোয়া ও দাঁইহাট ছাড়াও, মহকুমার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ব্লকে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে এ বছর পাটচাষ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ০৭:১১
রাস্তার ধারে পাটকাঠি শুকোনো।

রাস্তার ধারে পাটকাঠি শুকোনো। ছবি: প্রণব দেবনাথ।

দাম বেড়েছে সারের। অমিল খেতমজুর। বৃষ্টিও এ বার তেমন ভাল হয়নি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও পাটচাষ করেছিলেন কাটোয়া মহকুমার কয়েক হাজার চাষি। তাঁদের বেশির ভাগের দাবি, বাজারে পাটের দাম কমায় আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে তাঁরা। চাষিদের দাবি, দু’বছর আগে যে দামে পাট বিক্রি হত, এখন হচ্ছে তার অর্ধেক দরে।

পাটচাষিদের একাংশের দাবি, এক কুইন্টাল পাট বিক্রি করে এখন মিলছে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। দু’বছর আগেও কুইন্টাল প্রতি পাটের দাম কাটোয়ায় ছিল সাত হাজার টাকা। আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেছেন পাটচাষিরা।

কাটোয়া ও দাঁইহাট ছাড়াও, মহকুমার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ব্লকে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে এ বছর পাটচাষ হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকেই সাব-মার্সিবলের জলে চাষ করেছেন। পাট পচাতেও অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে। তার পরে উৎপাদিত পাট বাজারে নিয়ে যেতে মোটা টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাঁদের।

কাটোয়ার একাইহাটের পাটচাষি অধীর মণ্ডল বলেন, “মহাজনের থেকে দাদন নিয়ে এ বছর পাটচাষ করে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। সারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। খেতমজুর প্রায় পাওয়াই যায় না। পাওয়া গেলেও, সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাজ করলে ৪০০ টাকা মজুরি দিতে হয়। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জল কিনে চাষ করতে হয়েছে।

পাট পচাতেও টাকা খরচ করতে হয়েছে। বিঘা প্রতি পাট চাষে প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে এ বার। পাট বিক্রি করে যা মিলছে, তাতে লাভ কিছুই থাকছে না। সামনেই পুজো। হাতে টাকা না থাকলে পুজোর আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে।”

বিকিইহাটের পাটচাষি পরিমল মণ্ডলের কথায়, “দু’বছর আগেও এক কুইন্টাল পাট বিক্রি করে সাত হাজার টাকা পেয়েছিলাম। কিন্তু, এ বছর দাম পাচ্ছি মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। এ দিকে চাষে খরচ বেড়েছে অনেক। চাষিরা যাতে পাটের ন্যায্য দাম পান, সে দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।”

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাটোয়ার এক আধিকারিক বলেন, “এ বছর পাটের মান খুবই খারাপ। চাহিদাও গত কয়েক বছরের থেকে কম। অন্য দিকে, জোগান বেশি। তাই এ বছর দাম কম। দাম না পেয়ে পাটচাষিরা যে খুবই সমস্যায় পড়েছেন, তা সত্য। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Katwa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy