—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কালীপুজো উপলক্ষে খেপি মা ও ঝুঁপো মায়ের আরাধনা ঘিরে উদ্মাদনা তুঙ্গে কাটোয়া শহরে। শনিবার সকাল থেকেই শহরের দুই প্রান্তে খ্যাপাকালীতলা ও ঝুঁপোকালীতলায় ভক্তরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। সেজে উঠেছে ওই দুই এলাকা। রাত পোহালেই আজ, রবিবার সকাল থেকেই ওই দুই এলাকায় প্রতি বারের মতো এ বারও পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে।
ঝুঁপোমা পুজো কমিটির কর্তা আশিস বাগচি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রকাণ্ড নিম গাছকে দেবী কালী হিসেবে পুজো করা হয়। আমরা প্রতি বছরই নিষ্ঠা সহকারে মায়ের আরাধনা করে থাকি। শনিবার থেকেই প্রচুর মানুষ আসা শুরু করেছেন।”
পুজো উপলক্ষে শনিবার থেকেই শহরের রাস্তাঘাটে ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন থেকে শুরু করে কাছারি রোড, লেনিন সরণী, সার্কাস ময়দান, নিচুবাজার, বড়বাজারের মতো এলাকার রাস্তাগুলি কার্যত পথচারিদের দখলে চলে যায়। শহরের বাসিন্দা সুজিত ঘোষ বললেন, “কাটোয়া শহর-সহ আশপাশ এলাকায় খেপিমা ও ঝুঁপোমা একটা আবেগ। তাই পুজোর প্রস্তুতি দেখতে এ দিন সকাল থেকেই মন্দিরমুখী রাস্তাগুলিতে প্রচুর মানুষ যাওয়া-আসা করেছেন। রবিবারও খুব ভিড় হবে। তবে পুলিশ-প্রশাসন একমুখী রাস্তা করে দেওয়ায় সুবিধে হবে।’’
কেবল রাস্তাই নয়, এ দিন সকাল থেকেই ব্যাপক ভিড় হয়েছে শহরে ভাগীরথীর স্নানের ঘাটগুলিতেও। দুপুর পর্যন্ত একটানা ভিড় লেগেই ছিল। আশপাশের বহু গ্রাম এলাকা থেকেও বাসিন্দারা গাড়ি ভাড়া করে দেবরাজঘাট, কালীবাড়ি ঘাট, শ্মশানঘাটে স্নান করতে আসেন। গত সোমবারই দেবরাজঘাটে স্নান করতে গিয়ে দুই যুবক তলিয়ে যান। তাই কালীপুজোয় দুর্ঘটনা রুখতে প্রশাসন ও পুরসভার তরফ থেকে স্নানের ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও পুজো-পার্বণেই ভাগীরথীতে স্নান ও শহরে কেনাকাটা করতে কাটোয়ায় ব্যাপক ভিড় হয়। এ দিন মূলত দশকর্মা ও ফলের দোকানের সবথেকে বেশি ভিড় চোখে পড়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকাল থেকেই পুলিশ ছিল সক্রিয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা রুখতে শহরের স্নানের ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারি ছিল। শহরে খ্যাপাকালী পুজো ও ঝুঁপো মায়ের পুজোয় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy