Advertisement
E-Paper

ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে হাজার টাকা

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সব পড়ুয়া আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের প্রত্যেককেই  সহায়তা করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৩২
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

বর্ধিত ‘সেশন ফি’ প্রত্যাহারের দাবিতে টানা পড়ুয়া বিক্ষোভ চলছে পশ্চিম বর্ধমানের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশও। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সব পড়ুয়া আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের প্রত্যেককেই সহায়তা করা হবে। তবে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, এটা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। ফলে, আন্দোলন চলবে।
এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘সেশন ফি’ জমা দেওয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তার পরেই স্নাতোকত্তর স্তরের তৃতীয় সিমেস্টারের ফল প্রকাশ করা হবে। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয়, পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তা করা হবে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শান্তনু ঘোষ বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। বাকি ৩৫০ টাকা পড়ুয়ারা জমা করবেন। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।’’ এই সহায়তা পাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের বিভাগীয় প্রধানদের কাছে আর্জি জানাতে হবে। সেই আবেদনপত্রগুলি যাবে রেজিস্ট্রারের দফতরে। তার পরেই ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে এক হাজার টাকা। সেই টাকা পাওয়ার পরে, আরও ৩৫০ টাকা যোগ করে ফি জমা দেবেন পড়ুয়ারা। বিষয়টি নিয়ে ‘ফিজ় রিভিউ কমিটি’র সদস্য তথা ইংরেজি বিভাগের প্রধান শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা সহায়তা চেয়ে আবেদন করতে
শুরু করেছেন।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অন্তত ৫০০ ছাত্রছাত্রী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, সেশন ফি এক লাফে ৩৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৩৫০ টাকা করা হয়েছে। অনেক পড়ুয়াই এই বেতন দিতে পারবেন না বলে দাবি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘ফিজ় রিভিউ কমিটি’ গঠন করে বিস্তারিত পর্যালোচনা শুরু করে। কিন্তু তার পরেও ফি কমানো হয়নি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৬ অগস্টের মধ্যে পুরো বেতন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর পরেই বিক্ষোভের আঁচ বাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রীদের একাংশ দাবি করেন, করোনা-পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই বর্ধিত ফি দেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের তরফে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র দেবরাজ মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। বিক্ষোভের কারণে কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি একটা সমাধানসূত্র বার করেছেন মাত্র। আপাতত সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু ফি সংক্রান্ত বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের
আন্দোলন চলবেই।’’

Kazi Nazrul Islam University Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy