Advertisement
E-Paper

BCCL: দামাগড়িয়ায় জমিদাতাদের ‘বাধা’, বন্ধ কাজ

কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন জমিদাতার চাকরি হয়েছে। ন’জনের নিয়োগপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৩১
দামাগড়িয়া কোলিয়ারিতে মঙ্গলবার।

দামাগড়িয়া কোলিয়ারিতে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।

কাজ শুরু করতে গিয়ে মঙ্গলবার ফের জমিদাতাদের বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করলেন বিসিসিএল-এর দামাগড়িয়া কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ। প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও সমস্যা না মেটায় খনি থেকে যন্ত্রাংশ তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও জমিদাতাদের একাংশের দাবি, তাঁদের নিয়োগ করা না হলে কয়লা তুলতে দেওয়া হবে না।

গত ১ অক্টোবর থেকে এই কোলিয়ারির সম্প্রসারণ প্রকল্পে বিক্ষোভ-অবস্থান করছেন প্রায় ৩০ জন জমিদাতা। তার জেরে খনিগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে বলে দাবি। খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়েছিল, তাঁদের দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত হয়, মঙ্গলবার থেকে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে খনিতে যন্ত্রাংশ নামানো হলে, বিক্ষোভকারীদের বাধায় কাজই শুরু করা যায়নি। কোলিয়ারির ম্যানেজার রজত নায়েক বলেন, “বাসিন্দাদের বাধার ফলে আমরা খনি থেকে যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিয়েছি। জমিদাতাদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন। দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।” তবে বিক্ষোভকারীদের তরফে অনির্বাণ লায়েক বলেন, “আমরা খনি চালু করার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু চাকরির নিয়োগপত্র না পেলে এবং জমিদাতাদের জমি রেজিস্ট্রি না করা হলে, আমরা খনির কাজ শুরু করতে দেব না।” জমিদাতাদের অভিযোগ, বছর চারেক আগে তাঁরা কোলিয়ারি সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ৩৫০ একর জমি দিয়েছেন। কিছু জমিদাতার চাকরি হয়েছে। এখনও অনেককেই নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি, কয়েক জন জমিদাতার জমিতে খনন করা হলেও তাঁদের জমিগুলি কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন করাননি।

কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন জমিদাতার চাকরি হয়েছে। ন’জনের নিয়োগপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৫ জনের জমি রেজিস্ট্রি করানোর কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে খনি থেকে মাটি ও পাথর তোলার কাজ মিটিয়ে, আগামী বছরের শুরুতে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু এখন বছর শেষের মুখেও মাটি ও পাথর কাটার কাজ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। ফলে, এক দিকে যেমন কোলিয়ারির দৈনিক প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই লাগোয়া এলাকার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

BCCL
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy