হেলমেট বিলি। নিজস্ব চিত্র
সংসারের টুকিটাকি জিনিস কিনতে মোটরবাইকে বাজারে যাচ্ছিলেন কাটোয়া পাড়ার আলমগীর কবীর। হ্যাঁ, মাথা ফাঁকা রেখেই। পথ আটকাল ক্লাবের ছেলেরা। ধমক-ধামক নয়, হেলমেট পরার উপকারিতা বুঝিয়ে তাঁর মাথায় হেলমেট পরিয়ে দিলেন একতা সমাজবন্ধু স্পোর্টিং ক্লাবের ওই ছেলেরা। মিলল ফুল, চকোলেটও।
বেশ কিছু দিন ধরেই মাথা ফাঁকা দেখলে গাঁধীগিরির রাস্তায় হেঁটে পথচারীদের ফুল, চকোলেট দিচ্ছে বিভিন্ন থানার পুলিশ। এ বার পুলিশ নয়, রবিবার ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিকে সফল করতে হেলমেট নিয়ে পথে নামল একদল যুবক। কাটোয়ার পাবনা কলোনির বিশাল সাহা, ঋজু সাহা, বিদেশ দাসরা কেউ ব্যবসায়ী, কেউ সিভিক ভলান্টিয়ার, কেউবা স্কুলছাত্র। একতা সমাজবন্ধু স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যও। বিশাল, ঋজুরা জনবহুল এলাকা বেছে পুরসভা মোড়ে হেলমেট নিয়ে জড়ো হয়। এমনিতেই চৈত্রসেলের বাজার। তার উপরে ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় উপচে পড়ছিল। মোটরবাইক আরোহীর সংখ্যাও কম ছিল না। কিন্তু, অধিকাংশের মাথাতেই ছিল না হেলমেট। পথ আটকে তাঁদের হাতেই হেলমেট তুলে দিয়ে ক্লাবের সদস্যরা অনুরোধ করলেন, ‘‘দাদা এ বার হেলমেট পরা শুরু করুন।’’ আরোহীদের হাতে ফুল, চকোলেট তুলে দেয় কচিকাঁচারা।
এমন উদ্যোগ কেন?
সম্পাদক মিঠুন কুণ্ডু জানান, সপ্তাহখানেক আগে শহরের দশটি ক্লাবকে ডাকে কাটোয়া থানা। ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস উইক’ সফল করতে তাঁদের তরফেও কিছু করার অনুরোধ করেন পুলিশ কর্মীরা। এরপরেই এগিয়ে আসে একতা সমাজবন্ধু। ক্লাবের আশি জন সদস্যের চাঁদায় আনা হয় পঁয়ত্রিশটি হেলমেট। সব মিলিয়ে খরচ হয় হাজার পনেরো টাকা।
মহকুমা পুলিশের এক কর্তা এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। আর নতুন হেলমেট পেয়ে সলজ্জ তপন সাহা, দীপক পাত্রেরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘এ বার থেকে আর মাথা ফাঁকা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy