E-Paper

বেহাল বরো অফিস যাওয়ার পথ, ক্ষোভ কুলটিতে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ামতপুর বাইপাস হয়ে সীতারামপুর স্টেশনের রাস্তায় গিয়ে মিশেছে এই রাস্তাটি। এই পথ দিয়ে এফসিআইয়ের ভারী যানবাহন চলাচল করে।

সৌমিত্র গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ০৮:২১
বেহাল কুলটি বরো অফিস যাওয়ার রাস্তা।

বেহাল কুলটি বরো অফিস যাওয়ার রাস্তা। ছবি: পাপন চৌধুরী।

রাস্তার পাশেই রয়েছে কুলটি বরো কার্যালয়, নিয়ামতপুর ফাঁড়ি। বেশ কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলও আছে। অথচ, কুলটি বরো অফিস যাওয়ার এই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধীরাও সরব হয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সুরাহা না হয়নি ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। আসানসোল পুরসভার তরফে সংস্কারের আশ্বাস
দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ামতপুর বাইপাস হয়ে সীতারামপুর স্টেশনের রাস্তায় গিয়ে মিশেছে এই রাস্তাটি। এই পথ দিয়ে এফসিআইয়ের ভারী যানবাহন চলাচল করে। কুলতোডা, বিষ্ণুবিহার, প্রিয়া কলোনি, নয়াপাড়া-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় এক হাজার বাসিন্দা নানা প্রয়োজনে এই পথ ব্যবহার করেন। তাঁদের দাবি, রাস্তা বেহালের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বর্ষায় সময়ে বিপদ আরও বাড়ে। যানজটও হয়। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যানবাহন দীর্ঘ ক্ষণ যানজটে আটকে থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয় বলে জানান বাসিন্দারা। পথচারী বিদ্যুৎ গরাই, সুভাষ ধীবররা বলেন, “রাস্তাটি সংস্কার করলে ভাল হয়। কারণ, দুর্ঘটনায় আশঙ্কায় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও নিশ্চিতে থাকা যায় না।” বাসিন্দা সায়ন্তন অধিকারী, অখিল সাহারাও বলেন, “রাস্তার পাশেই বাড়ি। এটি সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন গেলে ধুলো ওড়ে। বর্ষাকালে জল জমে যাওয়ায় গর্ত বোঝা যায় না। ফলে যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।” তাঁদের দাবি, তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।

এই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আসানসোল পুরসভার কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কংগ্রেসের কুলটি ব্লক যুব সভাপতি সুকান্ত দাস, বিজেপি নেতা অমিত গড়াইয়ের কটাক্ষ, “বরো অফিস যাওয়ার রাস্তার যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে এলাকার উন্নয়ন কী
ভাবে হবে।”

মেয়র পারিষদ সদস্য ইন্দ্রানী মিশ্র শুধু বলেন, “শীঘ্রই এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kulti

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy