সরকারি অফিসার সেজে প্রতারণার অভিযোগ উঠল হুগলির এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ভিজিল্যান্স বিভাগের আধিকারিক সেজে সোনার গয়নার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা হাতিয়েছেন তিনি। ধৃতের নাম অগস্ত্য পাঁজা। তাঁর বয়স ৬১ বছর।
অগস্ত্যের বাড়ি হুগলি জেলার শ্রীরামপুর থানার বৈদ্যবাটি এলাকায়। বৃহস্পতিবার ভোরে বৈদ্যবাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে কাটোয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতের থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং একটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী অরূপ কুমার ঘোষ মঙ্গলকোটের আমডোব গ্রামের বাসিন্দা। খতিয়ার বাসস্ট্যাণ্ডে তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে। গত বুধবার বাইকে চেপে অগস্ত্যবাবু তাঁর দোকানে গিয়ে নিজেকে ভিজিল্যান্স আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। দোকানের লাইসেন্স এবং আয়কর সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। অরূপের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বলেন এক লক্ষ টাকা দিলে দোকানের বৈধ কাগজপত্র তৈরি করিয়ে দেওয়া হবে। অরূপবাবুর দাবি, তাঁর কাছে অত টাকা না থাকায় ২২ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত। তার পরে চম্পট দেন।
ঘটনার পরেই অরূপ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানান। সন্দেহ হওয়ায় মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দোকান এবং এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের বাইকের নম্বর উদ্ধার করে। সেখান থেকেই অগস্ত্যকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পেশায় গৃহশিক্ষক বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে।