Advertisement
E-Paper

‘খুন’ করে শ্মশানে, গ্রেফতার ভাসুরপো

দুর্গাপুর থানার পুলিশ জানায়, গত সোমবার সকালে বাড়িতেই ওই বিধবার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত পরিচিত কেউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কাকিমার শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিল ভাসুরপো। সেই ভাসুরপোকেই দুর্গাপুরের ধান্ডাবাগের কালীমন্দির লাগোয়া এলাকায় বছর পঁয়তাল্লিশের মহিলাকে খুনের অভিযোগে ধরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই যুবক তাদের কাছে স্বীকার করেছে, সে পরিবারের এক জনকে সঙ্গে নিয়ে মহিলাকে খুন করে।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ জানায়, গত সোমবার সকালে বাড়িতেই ওই বিধবার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত পরিচিত কেউ।

কিন্তু কী করে সন্দেহের তির গেল প্রশান্তের দিকে? তদন্তকারীরা জানান, ৭ অক্টোবর, সোমবার ঘটনার কথা চাউর হওয়ার পরেই এলাকাবাসী দাবি জানান, প্রশিক্ষণ পাওয়া আনতে হবে। সেই মতো পুলিশ-কুকুর আনা হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, যে সময়ে কুকুর তল্লাশি চালাচ্ছিল, সেই কয়েক ঘণ্টা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় প্রশান্ত। পরে ফিরে এসে শ্মশানে যায় এবং তিন দিন পরে কাকিমার পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মও সারে। এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই পুলিশ শুক্রবার রাতে আটক করে প্রশান্তকে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

খুনের কারণ হিসেবে পুলিশের দাবি, সরকারি প্রকল্পে মহিলা পাকা বাড়ি বানিয়েছিলেন। সেই বাড়িটি হাতাতে চেয়েছিল প্রশান্তের এক জামাইবাবু। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে মহিলা আপত্তি জানান। এর পরেই সপ্তমীর দিন, ৫ অক্টোবর দুর্গাপুর লাগোয়া একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দুর্গাপুরে এসে প্রশান্তের সঙ্গে দেখা করে। ৬ অক্টোবর দু’জনে এক সঙ্গে মদ্যপান করে। পুলিশ জানায়, জেরায় প্রশান্ত তাদের জানিয়েছে, খুনের পরিকল্পনা জামাইবাবুর। সে প্রথমে রাজি হয়নি। তবে শেষমেশ দু’জনে মত্ত অবস্থায় মহিলার বাড়ি যায়। জামাইয়ের ডাকাডাকি শুনে দরজা খোলেন মহিলা। এর পরেই মহিলাকে গলা টিপে খুন করে দু’জনে। তার পরে মহিলার উপরে ‘নেশার ঘোরে’ নির্যাতন চালায় প্রশান্ত, দাবি পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অন্য অভিযুক্তকেও জেরা করা হচ্ছে। শনিবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হলে প্রশান্তকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘‘এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সে অপরাধ স্বীকারও করেছে।’’

Crime Murder Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy