Advertisement
E-Paper

পিঠে ব্যবসাতেই মাত, সাফল্য কানাইয়ের

শেষমেশ বা়ড়িতে পিঠে বানানোর রেওয়াজটাই তাঁর রুজি তো বটেই, পড়শি মহিলাদেরও কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিল। তিনি, নদিয়ার দত্তপুলিয়ার বাসিন্দা লোকশিল্পী কানাই বাগচি।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:১৮
জোরকদমে: চলছে পিঠে তৈরির কর্মশালা। আসানসোলের হস্তশিল্পমেলায়। নিজস্ব চিত্র

জোরকদমে: চলছে পিঠে তৈরির কর্মশালা। আসানসোলের হস্তশিল্পমেলায়। নিজস্ব চিত্র

আদতে তিনি লোকশিল্পী। কিন্তু তাতে রোজগার তেমন ছিল না। শেষমেশ বা়ড়িতে পিঠে বানানোর রেওয়াজটাই তাঁর রুজি তো বটেই, পড়শি মহিলাদেরও কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিল। তিনি, নদিয়ার দত্তপুলিয়ার বাসিন্দা লোকশিল্পী কানাই বাগচি। বাংলার লুপ্তপ্রায় পিঠে তৈরির কর্মশালা নিয়ে তিনি এসেছেন আসানসোলে আয়োজিত হস্তশিল্পমেলায়।

শুরুটা কী ভাবে হয়েছিল? লোকশিল্পী কানাইবাবু গান রচনা, সুর বাঁধা, বাদ্যযন্ত্র বানানো-সহ নানা কিছুতেই পারদর্শী। একটা সময় ছিল, যখন তিনি রাজ্যের নানা প্রান্তে এ সব বাদ্যযন্ত্রের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করতে যেতেন। কিন্তু তাতে তেমন লাভ ছিল না। হস্তশিল্প মেলায় দাঁড়িয়ে তাই কানাইবাবু বললেন, ‘‘বাড়িতে পিঠে বানাবার রেওয়াজ রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই ব্যবসায় নেমেছি।’’

আর তাতেই বাজিমাত। বছর চারেক আগে প্রথমে পরিবারের সদস্যদের নিয়েই শুরু করেন ব্যবসা। তার পরে লাভ বাড়়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় কর্মশালা। কানাইবাবুর দাবি, কর্মশালায় এই মুহূর্তে মোট ১৭ জন মহিলা কর্মরত। তাঁদের নিয়মিত মাইনেও দেন বলে জানান তিনি।

হস্তশিল্প মেলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, কানাইবাবুদের স্টলের সামনে লেখা, ‘হারিয়ে যাওয়া মনের মিঠে/ বাংলার ঢেঁকি বাংলার পিঠে।’ স্টলের এক পাশেই ঢেঁকিতে চাল পিষছেন কয়েক জন মহিলা। আরও কয়েক জন বানিয়ে চলেছেন পিঠে। স্টলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ‘আসকে’, ‘পাটিসাপ্টা’, ‘পুলিপিঠে’, ‘গোকুল পিঠে’, ‘চৌষি’-সহ নানা কিসিমের পিঠে।

কেমন বিক্রিবাটা হচ্ছে? কানাইবাবুর দাবি, আসানসোল-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে আয়োজিত মেলায় তাঁর বিক্রি, ফি দিন গড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ঢেঁকিতে চাল পিষতে পিষতে সুচিত্রা পাল ও আলপনা বিশ্বাসেরা জানান, দিন প্রতি তিনশো টাকা ও খাওয়াদাওয়া মেলে।

কানাইবাবু জানান, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে উৎসাহদান অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আর তাই, মহিলাদের কর্মীদের শাড়ি, ঢেঁকির রং, সবই নীল-সাদা।

Pithe Business Successful
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy