পঞ্চায়েত নিয়ে রায় দেয়নি আদালত, বোর্ড গঠনও দূর অস্ত। তার মাঝেই নব নির্বাচিত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দল জানিয়ে দিল কী ভাবে চালাতে হবে পঞ্চায়েতের কাজ। রীতিমতো বৈঠক করে কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের নেতারা জের দেন স্বচ্ছতা ও সমবন্টনে।
দলের একাংশের দাবি, দুর্নীতি রুখতে আগেভাগেই নবনির্বাচিত সদস্যদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। দলের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘‘যাতে প্রলোভনে কেউ পা না দেন তার জন্যই সতর্ক করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এক জন সাংসদ, বিধায়কের কাজের থেকেও বেশি গুরুত্ব রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যদের কাজের। সকাল থেকেই নানা সমস্যা নিয়ে তাঁদের দোরগড়ায় হাজির হন এলাকার মানুষ। পঞ্চায়েত সদস্যদের কাজের উপরেই নির্ভর করে নিচুতলায় দলের ভাবমূর্তি কেমন হবে। সে নিয়েই দলের সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এ দিন ঐকতান হলের প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির ছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল, বিদায়ী জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু প্রমুখ। বৈঠকে বাংলা আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে ‘দলবাজি’ নিয়েও সতর্ক করা হয়। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মনে ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে যাতে কোনও ক্ষোভ না তৈরি হয় তার জন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের মাস্টার রোল পরীক্ষা করার কথা বলা হয়। যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পঞ্চায়েত সদস্যদের ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথাও বলা হয়। সাংসদ বলেন, ‘‘ব্যক্তি নয়, দল আগে। খারাপ কাজ করলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে পঞ্চায়েত সদস্যদের।’’ দেবুবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে মানুষ এলে তাঁকে ফেরানো যাবে না। সদস্যকে মনে রাখতে মানুষ তাঁকে সদস্য বানিয়েছে। প্রয়োজনে মানুষ প্রত্যাখ্যান করতেও পারে।’’
যদিও এমন শিবিরকে লোক দেখানো বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকদের এক জন রাজীব ভৌমিক বলেন, ‘‘দুর্নীতি আর তৃণমূল একই শব্দ। মানুষ সুযোগ পেলেই ওদের প্রত্যাখ্যান করবে।’’