এ ভাবেই চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। আসানসোলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
খোলা আকাশের নীচে মিড-ডে মিলের রান্না, পড়ুয়াদের পড়াশোনা হচ্ছে। সম্প্রতি আসানসোলের দু’টি সরকার অনুমোদিত প্রাথমিক স্কুলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসন খোলা আকাশের নীচে রান্না ও পড়াশোনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনও।
আসানসোলের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওকে রোড লাগোয়া মুন্সী প্রেমচন্দ প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, ১২৫ জন পড়ুয়ার জন্য খোলা স্থানেই রান্না হচ্ছে। স্কুলে রয়েছে মাত্র দু’টি ঘর। বাসিন্দারা জানান, উনুনের পাশেই কুকুর, ছাগলের দল ঘুরে বেড়ায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোভন সিংহের দাবি, ‘‘রান্নাঘর না থাকাতেই এই ব্যবস্থা।’
যদিও প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশনের নির্দেশ রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে মিডে-ডে মিলের জন্য প্রথমেই রান্না ঘর তৈরি করতে হবে। পুরসভা এলাকায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের রান্নাঘর, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পুর কর্তৃপক্ষের। অভিভাবকদের অভিযোগ, আসানসোল পুরসভা এলাকার অধিকাংশ স্কুলেই এই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না।
একই হাল দু’নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া আসানসোলের পলিটেকনিক লাগোয়া প্রাথমিক স্কুলটিরও। স্কুলের ১০৮ জন পড়ুয়া খোলা আকাশের নীচেই পড়াশোনা করছে। প্রধান শিক্ষিকা জুলু মণ্ডলের দাবি, ‘‘ঘরের সমস্যা রয়েছে। তাই বাইরে ক্লাস হচ্ছে।’’ অভিভাবকদের আশঙ্কা, রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে পড়়ুয়ারা। এই স্কুলে পরিদর্শনে এসে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনও নির্দেশ দেন, খোলা স্থানে ক্লাস নেওয়া যাবে না। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’ স্কুল ভবন তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে হয়েছে বলে মহকুমা প্রশাসনের দাবি।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy