জেলাশাসকের দফতরের সামনে সভায় অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
পাঁচশো ও এক হাজার টাকার নোট বাতিলের জেরে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী। নোট-কান্ডে তৃণমূলের আন্দোলন থেমে গেল কেন, সেই প্রশ্নও তুললেন বর্ধমানের সভা থেকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান জেলাশাসকের দফতরের সামনে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে ওই সভায় বহিষ্কৃত তৃণমূলের জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সুরমান আলি কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসের দাবি, হাজার তিনেক কর্মী-সমর্থকের ভিড় হয়েছিল।
অধীরবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল আন্দোলন করেছে। আমরাও রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে সারা দেশে আন্দোলন করছি। আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য কোথায় জানেন? আমরা তৃণমূলের মতো ফের ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ফেরত দিতে বলিনি। আমরা মানুষের হাতে টাকা দিতে বলেছি।’’ তাঁর দাবি, এই ৭৫ দিনে চাষ থেকে ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। জিডিপি এক শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি হঠাৎ করে তৃণমূলের আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেল কেন, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীরবাবু। তাঁর কথায়, “সারদা কান্ডের সময় তৃণমূলের নেতারা গ্রেফতার হতেই মোদীর বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার তৃণমূলের সাংসদরা গ্রেফতার হতেই আন্দোলন থমকে গিয়েছে।’’ তবে কংগ্রেস ও তৃণমূলের ‘কাছাকাছি’ আসার বিষয় উড়িয়ে দিয়েছেন অধীরবাবু। তাঁর কথায়, “আমি বিষয়টা জানি না। যত সব আকাশকুসুম কল্পনা!”
কংগ্রেসে যোগ দিয়েই তৃণমূলকে আক্রমন করেন সুরমান আলি। তাঁর কথায়, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য পুরনো তৃণমূলীরা কোণঠাসা। মাথা তুলতে গেলেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে।” তবে তৃণমূলের জেলার অন্যতম সাধারাণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “উনি তো কংগ্রসে যোগ দিলেন, ওনার গণতান্ত্রিক অধিকারে তো কেউ বাধা দেয়নি। আর নোট বাতিল নিয়ে আমাদের আন্দোলন প্রতিদিনই হচ্ছে।” পুলিশের দাবি, শ’পাঁচেক লোকের ভিড় হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy