তাঁর কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে একের পর এক কেনাকাটা চলছে। অথচ জানেনই না গ্রাহক। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এমনই অভিযোগ উঠল বুদবুদে। বৃহস্পতিবার বুদবুদের বাসিন্দা উমাচরণ জানা ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের পাসবই আপডেট করতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে। মানকরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অভিযোগও জানান তিনি। ব্যাঙ্কের দাবি, ১১ মার্চ ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোওয়া গিয়েছে। আপাতত ডেবিট কার্ড ও অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের সাইবার সেলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।
উমাচরণবাবুর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি রয়েছে তাঁর স্ত্রী মিনু জানার নামে। ওড়িশায় থাকেন তিনি। ডেবিট কার্ডটিও তাঁর কাছেই থাকে। এ দিন উমাচরণবাবুর বকেয়া একটা টাকা ঢোকার কথা ছিল অ্যাকাউন্টে। তাই পাসবই নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আপডেট করতেই নজরে আসে, ১১ মার্চ ২৪ বার দু’হাজার টাকা করে ও তিন বার ৫০০ টাকা করে অনলাইনে কেনাকাটা করা হয়েছে। মোট ৪৯,৫০০ টাকা খরচ করা হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে।
তাঁর দাবি, এরপরেই তিনি স্ত্রীকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেন। জানা যায়, ওই দিন ব্যাঙ্কের নাম করে ফোনে ডেবিট কার্ডের নম্বর জানতে চাওয়া হয়েছিল মিনুদেবীর কাছে। কিন্তু তিনি তা দেননি বলে উমাচরণবাবুর দাবি। এমনকী, অনলাইনে একাধিক কেনাকাটা হলেও তার কোনও এসএমএস-ও স্ত্রীর ফোনে আসেনি বলে উমাচরণবাবুর দাবি।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোন করে অনেক সময়েই ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর জেনে প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রেও সেরকম কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। ওই ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানান, বেশ কিছু অনলাইন সংস্থা রয়েছে, যেগুলিতে একবার মাত্র ‘ওটিপি’ (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) লাগে। ওই সংস্থাটিও সেরকম কিনা দেখা হচ্ছে। মানকর শাখার ম্যানেজার সাধন সাহা বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যাঙ্কের সাইবার সেলে জানানো হয়েছে। আপাতত অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।’’
বাড়িতে ফাটল: খনিতে বিস্ফোরণের জেরে বাড়িতে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এই অভিযোগে শুক্রবার আসানসোলের কালীপাহাড়ি লাগোয়া ছাতাপাথর গ্রামের বাসিন্দারা খনি কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন।
খনিকর্তারা বিস্ফোরণ বন্ধের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় কাউন্সিলর বাচ্চু রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখনই ওই গ্রামের চারটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়।’’ চুন্নুলাল বার্নওয়াল নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়ার পরেই দেখি ঘরের দেওয়াল-মেঝেতে ফাটল ধরে গেল।’’ খনির এজেন্ট ও ম্যানেজার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy