দুর্ঘটনার পরে ম্যাটাডর ও ক্রেন। ছবি: উদিত সিংহ।
পরপর দু’টি ম্যাটাডর ও পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারল একটি বালি বোঝাই ট্রাক। তার জেরে পুলিশের গাড়ির চালক-সহ তিন জন জখম হলেন। শনিবার মেমারির পালসিটের কাছে জাতীয় সড়কের উপরে দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে আধ ঘণ্টার মতো যানজট তৈরি হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে বর্ধমান থেকে একটি বালি বোঝাই ট্রাক জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। পালসিট স্টেশন লাগোয়া এলাকায় ওই লরিটি আচমকা মালপত্র বোঝাই একটি ম্যাটাডরে ধাক্কা মারে। জখম হন ভাতারের ভাটাকুলের বাসিন্দা শেখ জহর ও মেমারির নিখিল মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাটাডরে ধাক্কা দিয়ে চম্পট দিতে গিয়ে ট্রাকটি ফের বিপত্তি ঘটায়। মাত্র ২০০ মিটার দূরেই একটি চালবোঝাই ম্যাটাডর উল্টে পড়েছিল। সেটিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরানোর জন্য একটি ক্রেন নিয়ে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। ট্রাকটি এরপর সেই উল্টে থাকা ম্যাটাডর, পুলিশের গাড়ি ও ক্রেনকে সজোরে ধাক্কা মারে। জখম হন পুলিশের গাড়ির চালক দীপন ক্ষেত্রপাল। আহত ব্যক্তিদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তিন জন জখম ব্যক্তির অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় সড়কের উপরেই ট্রাক, ম্যাটাডর, পুলিশের গাড়ি, ক্রেন— সবই দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রয়েছে। এর জেরে জাতীয় সড়কে তৈরি হয় যানজট। দাঁড়িয়ে পড়ে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, ট্রাক। পরে মেমারি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে এবং চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই বালি বোঝাই ট্রাকের দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছেন পালসিটের বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, গত ছ’মাসে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। সম্প্রতি একটি বালি বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। তা ছাড়া একটি পুলিশের গাড়িও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা রানা করের অভিযোগ, ‘‘বালি বোঝাই ট্রাকগুলির গতির কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এর ফলে গোটা এলাকায় কার্যত দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। পরিবহণ দফতরের বিষয়টি নিয়ে আরও সজাগ থাকা দরকার।’’ দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য স্বীকার করে নেন পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘পরিবহণ দফতরে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় সব জায়গায় তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy