নেপালে অশান্তির ঘটনায় গভীর উদ্বেগে তাঁরা, জানাচ্ছেন আসানসোল ও বার্নপুরে নেপাল থেকে এসে বসবাসকারী মানুষজন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বার্নপুরের এবি টাইপ এলাকা ও আশপাশে বেশ কিছু নেপালি পরিবারের বাস। তাঁরা জানান, তাঁদের অনেক আত্মীয়স্বজন এখনও নেপালে বাস করছেন। গত কয়েক দিন ধরে নেপালে যে বিক্ষোভ-আন্দোলনের আগুন জ্বলছে, তাতে তাঁরা চিন্তিত। ফোনে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
নেপাল থেকে এসে আসানসোল-বার্নপুরে ব্যবসা-সহ নানা পেশায় রয়েছেন বেশ কিছু বাসিন্দা।তাঁদের কয়েক জন জানান, অনেক আত্মীয় কাঠমান্ডু-সহ সে দেশের নানা শহরে থাকেন। সেখানে কার্ফু চলছে, সংঘর্ষ হচ্ছে বলে টিভিতে দেখছেন তাঁরা। দেশে অস্থির পরিস্থিতি তাঁদেরও প্রভাবিত করছে। ফোনে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা হলেও, চিন্তা কমছে না। নেপালে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক, এটাই তাঁদের আবেদন।
বার্নপুরের বাসিন্দা পুনম ছেত্রী বলেন, ‘‘আমরা খুব আতঙ্কে আছি। সব মিটে যাক, এটাই চাই। শিশু থেকে প্রবীণ, অনেকের মৃত্যু হচ্ছে বলে শুনছি। আমরা চাই না, ওখানে আমাদের পরিজন আক্রান্ত হোক। আমাদের নেপাল আগে যেমন ছিল, তেমন শান্ত হোক, এটাই এখন প্রার্থনা।’’ সরস্বতী গুরুং নামে এক বাসিন্দা জানান, পরিবারের অনেক মহিলা দেশে বাড়িতে রয়েছেন। বাড়ির ছেলেদের অনেকে বিদেশে কর্মসূত্রে যান। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানে বিশেষ কোনও শিল্প নেই। তাই কাজের সুযোগ কম। চাষ করে ফসল রাখা থাকে। কিন্তু শুনছি নানা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক কষ্টে বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারছি। আমরা খুব চিন্তায় আছি।’’
বার্নপুরে ইস্কো কারখানার এবি টাইপ আবাসন এলাকায় প্রায় শতাধিক নেপাল থেকে আসা পরিবার থাকে। বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করছে তারা। অনেকেই স্থানীয় কারখানায় কাজ করেন। পুরুষেরা কাজে বেরিয়ে গেলেও, বাড়িতে মহিলারা টিভিতে বা মোবাইল ফোনে চোখ রাখছেন নেপালের খবর জানার জন্য। ফোনে বার বার দেশে থাকা পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করছেন। তাঁরা জানান, ওখানে সমাজমাধ্যমে কড়াকড়ি চালু থাকায় সব খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ফোনে যেটুকু যোগাযোগ করা যাচ্ছে, তাতে জানার চেষ্টা করছেন, পরিচিতেরা সকলে সুস্থ রয়েছেন কি না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)