ফাইল চিত্র।
জেলা ভাগের পরে চার মাস পেরোতে চলল। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন হয়নি এখনও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ মার্চ আসানসোল স্টেডিয়াম কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় অবিভক্ত জেলার জেলাশাসককে। জেলা ভাগের পরে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক সেই পদে বসেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পরে জেলাশাসকের পৌরহিত্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন করার কথা। তবে তা এখনও হয়নি।
ফুটবলের মরসুম চালু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে অনূর্ধ্ব ১৫ প্রতিযোগিতা শেষ। সম্প্রতি থেকে অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আসানসোল মহকুমার দীর্ঘদিনের রেফারি সুখেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ফুটবল মরসুমে চলতি বছরেও আসানসোল, দুর্গাপুর মহকুমার সব ক’টি দল পূর্ব বর্ধমান আয়োজিত প্রতিযোগিতায় খেলছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার খেলা শুরু হলে খেলোয়াড়দের সুযোগ অনেক বাড়বে।’’ হরিপুর ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ সুব্রত ঘোষাল জানান, ক্রিকেটের লিগ ও প্রতিযোগিতা এ বছর নতুন জেলায় হবে কি না, তা বোঝা যাবে ফুটবল মরসুম শেষ হওয়ার পরে।
আসানসোল মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় ক্রিকেট-ফুটবল এবং ভলিবল, বাস্কেটবল ও কবাডির আলাদা ক্রীড়া সংস্থা ছিল। পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠনের পরে নতুন জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রয়োজন। আসানসোল স্টেডিয়াম কমিটি পূর্ণমাত্রায় গঠন না করার ফলেও সব কাজ ঠিক ভাবে করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। আসানসোল মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমল সরকার দাবি করেন, ‘‘এই সংস্থার সংবিধান পরিবর্তন করে আসানসোল সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা গঠন করা হবে। সেটিই হবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আমরা জেলাশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে দুর্গাপুর মহকুমার প্রতিনিধিদের ওই কমিটিতে যোগ করব।’’
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। অবিভক্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে নতুন জেলার সংস্থা তৈরি করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy