Advertisement
১৮ জুন ২০২৪

দলে থেকে দাদাগিরি নয়, বার্তা অনুব্রতর

সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করলে জেল— মুখ্যমন্ত্রীর কথার সুর ধরেই এ কথা জানালেন বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা বর্ধমানের কেতু্গ্রাম, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোটের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল।

ভিড়ের মাঝে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।

ভিড়ের মাঝে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৮
Share: Save:

সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করলে জেল— মুখ্যমন্ত্রীর কথার সুর ধরেই এ কথা জানালেন বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা বর্ধমানের কেতু্গ্রাম, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোটের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার আউশগ্রামের উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে দলের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘দলের পদে থেকে দাদাগিরি করা চলবে না। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা চলবে না। করলে লক্-আপ।’’

এ দিনের সভায় মাঠ উপচে রাস্তা পর্যন্ত ভিড় জমে গিয়েছিল। অনুব্রতবাবুকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘‘মাঠের চেয়েও দ্বিগুন বেশি লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন।’’ তৃণমূলের দাবি, ৫০ হাজারেরও বেশি লোক হয়েছিল। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, সাত হাজারের বেশি লোক হয়নি। আর পুলিশের হিসেবে, ১৭ হাজার লোক হয়েছে ওই সভায়। অনুব্রতবাবু বলেন, ‘‘আউশগ্রাম আদিবাসী এলাকা। আমি এখানকার বিধায়ককে বলেছি, আদিবাসী পাড়ায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দাও। দিদিকেও (মুখ্যমন্ত্রী) আউশগ্রামের উন্নয়নের জন্য বলেছি।’’

স্কুলের জায়গায় আউশগ্রাম থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার অবৈধ নির্মাণ করছেন, এই অভিযোগ জানাতে শুক্রবার থানায় গিয়েছিলেন আউশগ্রাম হাইস্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি, এলাকার তৃণমূল নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ হলে পুলিশ-জনতা খন্ডযুদ্ধ বাধে। পরের দিন, শনিবার অভিভাবক-প্রাক্তন পড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলের সামনে জড়ো হন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই থানায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরানো হয়। এই ঘটনায় গুসকরার তৃণমূলের কাউন্সিলর চঞ্চল গড়াই-সহ ১১ জনকে ঘটনার দিনেই গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন গ্রেফতার হন সিপিএমের গুসকরা জোনাল কমিটির সম্পাদক সুরেন হেমব্রম। দু’দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে চঞ্চলবাবু সহ তিন জনকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

অনুব্রতর দাবি, “চঞ্চল গড়াই ও সিপিএম নেতাদের উস্কানিতে থানা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। ওঁরা আগে বৈঠক করেছিলেন। তাই আমি বলি, ঝগড়ঝাঁটি নয়, ঝামেলা নয়। নোংরা লোককে সরিয়ে সুস্থ ভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।” অনুব্রত ছাড়াও সভায় ছিলেন বীরভূমের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ সহ প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mandal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE