—ফাইল চিত্র।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপা ছাড়া শিক্ষকেরা অন্য কোনও সংগঠন করতে পারবেন না, সোমবার উপাচার্য নিমাই সাহার ঘরে ওয়েবকুপার রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন ওয়েবকুপার রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটের অধ্যাপকেরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষকদের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই সূত্রের দাবি, ঠিক হয়েছে নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষককে ওয়েবকুপার সদস্যপদ নিতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘উপাচার্যকে দিয়ে বলিয়ে নেওয়া হয়েছে, ওয়েবকুপা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অন্য সমস্ত সংগঠন বন্ধ করতে হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এখনও বুটার অস্তিত্ব রয়েছে তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের অসন্তোষ ছিল। এ নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার নেতৃত্বকে ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে বলে দাবি।
তবে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষকমহলের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্যের ঘরে ওয়েবকুপার চেয়ারম্যান কৃষ্ণকলি দত্তকে বলতে শোনা যায়, যেভাবে উপাচার্য তাঁর ঘরে দলীয় সংগঠনের বৈঠক করার সুযোগ দিয়েছেন তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। যার প্রেক্ষিতে উপাচার্য পাল্টা জানান, সংগঠনের লোক হিসাবে তিনি সংগঠনের চেয়ারম্যানকে ডেকেছেন। তাই এই আলোচনায় কোনও বাধা নেই।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘‘ওরা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। নিজেদের কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে এসেছিেলন। আমার ঘরে কেন বৈঠক হবে? এটা কী সম্ভব!’’ ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বলেন, ‘‘উপাচার্যের ঘরে বসে বৈঠক করব! এটা হতে পারে? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা শিক্ষক সমিতির তহবিলে যায়। এটা হতে পারে না। তাই কথা বলতে গিয়েছিলাম।’’ ওয়েবকুপা ছাড়া অন্য সংগঠনের সদস্যপদ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ঘোষণাপত্রেই আছে যে আমাদের সদস্য হলে অন্য কোনও সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। তবে উপাচার্যের ঘরে বসে কিছু বলিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy