Advertisement
E-Paper

রিপোর্ট আসার হার নিয়ে চিন্তায় কর্তারা

বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় ১,৩০০ নমুনার পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ০২:২৮
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

যে ভাবে লালারসের নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে, সে হারে রিপোর্ট না আসায় চিন্তায় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, একটি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট না এলে আগামী দিনে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা মানুষজনের নমুনা সংগ্রহ করতেও সমস্যা হবে। এই সমস্যা কাটাতে আপাতত ‘পুল টেস্ট’ করার উপরে জোর দিতে চাইছে জেলা প্রশাসন।

ওই বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় ১,৩০০ নমুনার পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে। জেলায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তিন রকমের যন্ত্রে সর্বোচ্চ চারশো লালারসের রিপোর্ট এক দিনে তৈরি করা সম্ভব। এ ছাড়া, পূর্ব বর্ধমানের ‘নোডাল’ হাসপাতাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দু’শো নমুনা পাঠানো যাচ্ছে। জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘কাঁকসার ‘কোভিড’ হাসপাতালে আরও দু’শো নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, লালারসের নমুনা ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখার জন্য (-৮০) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের রেফ্রিজারেটর রয়েছে। আরও আটটি রেফ্রিজারেটর কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে।’’ প্রশাসনের একাংশের দাবি, ‘নোডাল’ হাসপাতাল থেকে সব সময় রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান সদর এলাকার চারটি ব্লক, কাটোয়া ও কালনা মহকুমা-সহ আটটি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। এখন প্রতিদিন পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরছেন। তাই নমুনা সংগ্রহ দিন-দিন বাড়ছে। মঙ্গলবার জেলায় নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা ছিল ৬০০। সেখানে বুধবার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১,১২২ জনের। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিভৃতবাস কেন্দ্রে আটকে রেখে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পরে, তাঁদের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় তাঁদের মধ্যে কেউ করোনা-আক্রান্ত থাকলে, তাঁর সঙ্গেই অন্যদের নিভৃতবাস কেন্দ্রে থাকতে হতে পারে। ফলে, সংক্রমণ ছড়ানোরও সম্ভাবনা বাড়ছে।

এর আগে, জেলা প্রশাসন ঠিক করেছিল নিভৃতবাস কেন্দ্রে ‘কিয়স্ক’ বসিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জামালপুরে পাঁচরার নিভৃতবাস কেন্দ্রে নমুনা সংগ্রহ করতে না যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। বুধবার দুপুরে এক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মোবাইল ভ্যানে করে নিভৃতবাস কেন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জেলাশাসক জানান, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ‘কিয়স্ক’ বসিয়ে নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘আগামী তিন দিন কম শ্রমিক ফিরবেন। ফলে, ‘ব্যাকলগ’ কেটে যাবে। কিন্তু তার পরে বহু শ্রমিক আসতে শুরু করবেন। তখন সমস্যা হতে পারে। সে জন্য প্রাথমিক ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তিন দিন পর থেকে জেলায় এক সঙ্গে দু’-তিন হাজার শ্রমিক ফিরবেন। তাঁদের নমুনা সংগ্রহের পরে ‘পুল টেস্ট’ করা হবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘এক-এক বারে ২৫ জনের টেস্ট হবে। ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট এলে অসুবিধা নেই। ‘পজ়িটিভ’ হলে ফের আর এক বার রিপোর্ট করতে হবে। এ ছাড়া, অন্য কোনও উপায় নেই।’’ তিনি জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। করোনা আক্রান্তের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন এবং দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁরা অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছেন।

Coronavirus Health COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy