ঝাঁপ বন্ধ হওয়া হিন্দুস্তান কেবল্সের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রাথমিক ও হাইস্কুলগুলিকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের আওতায় আনার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবারই স্কুলগুলি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা দফতরের কর্তারা। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পরিদর্শক দলের দেওয়া বিস্তারিত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহেই পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে জমা পড়বে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে প্রায় দেড় দশক উৎপাদনহীন থাকার পরে আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্তান কেবল্সের ঝাঁপ ফেলা হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের কথা ভেবে কারখানার অধীনে থাকা স্কুলগুলিকে বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু তার পরেও প্রশ্ন উঠেছিল, স্কুলগুলির ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দু’টি হাইস্কুল এবং একটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলকে ভবন ও জমি-সহ শিক্ষা দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কেবল্সের জমিতে থাকা সাতটি প্রাথমিক স্কুলকে দু’টি হাইস্কুলের ভবনে তুলে আনা হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, এমন প্রস্তাব জেলা শিক্ষা দফতরকেও দেওয়া হয়েছে। কেবল্সের এই স্কুলগুলির দায়িত্বে থাকা আধিকারিক উমেশ ঝা বলেন, ‘‘আমাদের দেওয়া এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে শুক্রবার প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। যাবতীয় পরিকাঠামো ঘুরিয়ে দেখিয়েছি।’’
পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় পালও জানান, জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে স্কুলগুলির পরিকাঠামো পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি জানান, শিক্ষা দফতরে কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই এই পরিদর্শন। অজয়বাবু বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহেই বিস্তারিত রিপোর্ট জেলাশাসকের দফতরে জমা করা হবে। তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ শিক্ষা দফতর সূত্রেও জানা গিয়েছে, দ্রুত যাবতীয় প্রস্তাব কার্যকর করার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ আগামী শিক্ষাবর্ষের আগে সিদ্ধান্ত কার্যকর না হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বেন।