খনি ধসে মৃত্যু শ্রমিকের। প্রতীকী চিত্র।
কয়লা খনিতে ধসের জেরে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। আহত দু’জন। রবিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার ইসিএলের সাতগ্রাম কয়লা খনিতে। আহতদের ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। খনির নীচে যে স্তম্ভ রয়েছে তা কেটে ফেলার জন্যই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ শ্রমিকদের একাংশের। তবে এ নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ।
রবিবার ভোরে জামুড়িয়ার ইসিএলের সাতগ্রাম কয়লা খনিতে ধস নামে। খনিতে তখন রাতের শিফটের কাজ চলছিল। ধসের জেরে মৃত্যু হয় সওদাগর ভূঁইয়া নামে এক শ্রমিকের। জখম হন নরেশ রায় নামে এক শ্রমিক। তাঁকে ভর্তি করানো হয় কয়লা খনির কেন্দ্রীয় হাসপাতালে। চোট লাগে বিশ্বনাথ রায় নামে আরও এক শ্রমিকের। তবে তাঁক হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খনি শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, খনির নীচে যে স্তম্ভ রয়েছে তা কাটতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি। কিন্তু ইসিএল এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ইসিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনার তদন্ত করা হবে। তার পর কেন এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার পর খনি চত্বরে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। তাঁরা নিহতের পরিবারের এক জনের চাকরি এবং আর্থিক সাহায্যের দাবি তুলেছেন। সন্দীপ রায় নামে আইএনটিটিইউসির এক নেতার কথায়, ‘‘নাইট শিফটের সময় ভোর বেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সওদাগর ভুঁইয়া চাপা পড়ে যান। আরও দু’জন আহত হয়েছেন। আমরা চাই নিহতের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy